কসবা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে দুই তরুন ক্রিকেটারকে অপহরণের চেষ্টা॥ মোটর সাইকেল ও মোবাইল ছিনতাই

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥  কসবা হাসপাতাল থেকে দুই যুবককে  বেদড়ক পিটিয়ে  অপহরণ করার  চেষ্ট্রাকালে  ভিডিও ধারণ করার সময়  কসবা প্রেসক্লাবের  সভাপতি ও দৈনিক সমকাল প্রতিনিধির  সেভেন প্লাস আই ফোন ও চশমা ভেংগে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা । এ সময়  তার পকেট থেকে  সাড়ে  পাচঁ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সকল  দুবৃত্তরা  ওই  সময়  ওই  দুই যুবকের  একটি  মোটর সাইকেল ও ৩টি  মোবাইল  ফোনও ছিনিয়ে  নিয়ে  সন্ত্রাসী কায়দায় দারালো অস্রসহ ১৫/২০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে  যায়।  স্থানীয় জনগনের বাধার মুখে ওই দুই  যুবককে ফেলে  যায় সন্ত্রাসীরা।

খোজ ঁ নিয়ে   জানা যায় কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের  সীমান্তবর্তী বায়েক ও কান্দারপাড় গ্রামের  হেবজু মিয়ার পুত্র ইবান মিয়া ও  ওয়াশিম  মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ২০/২৫ জন  সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী  কসবা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ভিতরে ঢোকে । এ সময়  স্থানীয় ক্রিকেটার ও কলেজ ছাত্র মোঃ অপু মিয়া এবং মোঃ অন্তর মিয়াকে বেদড়ক পিটায়ে রক্তাক্ত জখম করে ।  সন্ত্রাসীরা কমান্ডো স্টাইলে তাদের অপহরনের চেষ্টা্রা করে। এই  মুহুর্তে  কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মোঃ সোলেমান খান ঘটনাটি তার মোবাইলে ভিডিও চিত্র  ধারণ করতে থাকলে সন্ত্রাসীরা তার উপর চড়াও হয় এবং তার মোবাইল ফোন ও চশমা ভেংগে ফেলে এবং পকেট থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। অপর দিকে মোঃ অপু মিয়ার দুটি মোবাইল সেট ও মোঃ অন্তরের একটি হোন্ডা, একটি মোবাইল সেট ও নগদ ২০ হাজার  টাকা   ছিনিয়ে নেয়।  অভিযোগকারি  অপু মিয়া বলেন- আমরা দুই বন্ধু গিয়েছিলাম  হাসপাতালে রোগী দেখতে। সেখানে গিয়ে  আকষ্মিক ভাবে হামলার শিকার হই । আমাদেরকে এরা উঠিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। এসময় সাংবাদিক কাকা মোবাইলে  ভিডিও ধারণ করলে এরা সাংবাদিক কাকার খারাপ ব্যবহার করে  এবং মোবাইল চশমা ভেংগে ফেলে।  কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান  এডঃ রাশেদুল  কাওসার  ভূইয়া জীবন  সাংবাদিকদের  জানান  ইবান ও ওয়াসীম  এর নেতৃত্বে যারা  এসেছিল এরা সবাই খারাপ  প্রকৃতির লোক । সীমান্ত এলাকায় এরা নানা রকম অপকর্মে জড়িত।   তাদের অবিলম্বে  গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি  কসবা  থানার অফিসার  ইনর্চাজকে  বলেছি।

কসবা উপজেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী রুহুল আমিন বলেন– কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন মাদকসেবী, চোরা কারবারী ও দালালদের নিকট জিম্মি।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডাঃ একরাম উল্লাহর সংগে যোগাযোগ করলে তিনি জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেম্পাসে এমন ঘটনা খুবই নিন্দনিয়। আমি এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। কসবা থানা অফিসার ইনর্চাজ রাজু আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.