ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ॥ কসবা থানা সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামী ইভান ও ওয়াসীম বায়েক এলাকার চিহ্নিত ডাকাত হেবজু মিয়ার পুত্র। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বহু অভিাযোগ ও গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। এলাকার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কথা বলতে পারে না। বিশেষ করে কসবা উপজেলার দক্ষিন পূর্ব এলাকার বায়েক ও কায়েমপুর ইউনিয়নে এদের ত্রাসের রাজত্ব চলমান।
কায়েমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকতিয়ার আলম রনির সংগে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে ঘটনা ইভান ও ওয়াসীম বাহিনী ঘটিয়েছে তা নিন্দনীয়। এরা এলাকায় চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তাদের অত্যাচারে সীমান্ত এলাকার অনেক মানুষ এলাকা ছেড়ে শহরে বসবাস করছে।
কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলা ও মহড়ার বিষয়ে থানায় যথাসময়ে অভিযোগ দেয়া হলেও দ্রুত তাদের গ্রেফতার না করায় এলাকায় সুধীজনদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সাব সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাফ্ফারের ঘনিষ্ট সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব ফিরোজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার (অবঃ) শামছুল আলম বলেন, অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে এলাকায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা হোক।তারা বলেন, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারীদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়নি। এদিকে কসবা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।