প্রশান্তি ডেক্স ॥ রংপুরে হরতালের সমর্থনে বিএনপির মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর সিটি বাজার সংলগ্ন ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে বাকি আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রংপুর মহানগরে আগামী রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সহযোগী তিন সংগঠন। শনিবার বিকালে মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব স্বাক্ষরিত এক বার্তায় হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান ও সদস্যসচিব মাহফুজ উন-নবীর মুক্তির দাবিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এ হরতালের ডাক দেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ও রবিবার হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে বিএনপি। সন্ধ্যায় মিছিলটি নগরীর সিটি বাজার সংলগ্ন ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায় এলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পথচারী ও রিকশাচালকসহ কয়েকজন আহত হন। এ সময় দেশ টিভির রংপুর প্রতিনিধি আবু আসলাম ভিডিও ধারণ করতে গেলে আবারও ককটেল ছোড়া হয়। ককটেল বিস্ফোরণে আবু আসলামসহ ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা সটকে পড়েন।
সাংবাদিক আবু আসলাম বলেন, বিএনপির ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে আসছিলেন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। ভিডিও ধারণ করতে গেলে আমার ওপর হামলা চালান বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যান।’
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন বলেন, ‘আমাদের মিছিলে কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা জানি না। সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় দলের কোনও নেতাকর্মী জড়িত নন; কারা হামলা করেছে আমরা তাদের দেখিনি।’
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘ককটেল হামলাকারী বিএনপি নেতাকর্মীদের ছবি সংগ্রহ করেছি আমরা। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।’
ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) মো. আবু মারুফ হোসেন।
এদিকে, সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন রংপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক লিয়াকত আলী বাদল।