২৩এর বিদায়লগ্নে নতুন বছরের আগমনে এক শান্তির পরশ অনুভুত হওয়ার শুভ লক্ষণ জাতির সামনে হাজির হচ্ছে। বিগত দিনের সকল জঞ্জাল এখন অতিত এবং নতুন আঙ্গিকে আন্দোলন, কর্মসূচী এবং শান্ত ও শান্তিময় পরিবেশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অর্ভোদ্বয় ঘটিয়ে শান্তি ও নিশ্চয়তা এবং স্থিতিশিলতার আভাস অনুভুত হওয়া চারিদিকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তবে লোকের ধারনা ও যুগের চাহিদায় আর নৈরাজ্য গ্রহণযোগ্য হতে পারছে না। সকল নেতিবাচকতা এখন বিলুপ্তির পথে। কুটচাল আর কুটনীতি এবং রাজনৈতিক হতাশা এখন বিমুখতায় পর্যবসীত হচ্ছে। তবে নতুন বছরের আর্ভিভাব শান্তির এবং স্থিতিশীলতার আগমনী বার্তা দিয়ে নতুন দিনের ও যুগের আর রাজনৈতিক নতুন সংস্করণের যুগে পদার্পনের আগমনী বার্তা দিচ্ছে।
২০২৩ বছরটি খারাপের মধ্যেও ছিল ভাল। অতি উত্তম বলা না গেলেও ভাল বলা সহজ এবং যুক্তিযুক্ত। তবে নানান সংস্করণ ও প্রতিকুলতা এবং নেতিবাচকতা মুখর ছিল এই বিদায়ী ‘২৩। তবে ‘২৪ এর আগমন শুভ সেটা বলার আর দরকার পড়ে না কারণ ‘২৩ বিদায়ে সকল অপশক্তির যৌগিক মহড়া এবং ক্ষমতার বাগাড়ম্বরের ইতিটানা সমাপ্তির পথে। তবে জঞ্জাল আছে এবং থাকবে তবে এর মাঝেও স্থিতিশীলতা, শান্তি ও নিশ্চয়তার যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
নির্বাচন নিয়ে যত ভাবনা এবং দৃশ্যমানতা পরিলক্ষিত হয়েছিল তার সবই এখন সমাপ্তির পথে। তবে নির্বাচনী যে সংস্কৃতি বর্তমানে বহমান তারও কিন্তু স্থায়ীত্ব মহিয়ান নয় বরং এর থেকে মুখ ফিরানোতেই জনগণ ব্যতিব্যস্ত। তবে তা বর্তমানের অন্ধকার থেকে বের হওয়ার একটি পথ মাত্র। রাজনীতি এখন সকল বিদ্যা শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের উদ্ধে উঠে মানুষের প্রধান ও প্রথম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে যদি এর মধ্যে লাগাম টানা না যায় তাহলে হয়তো সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে রাজনীতিতে মানুষ শিক্ষক এবং ছাত্রতে পরিণত হবে। সকল প্রতিষ্ঠানই রাজনীতির প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপায়িত হবে।
তবে পরিবর্তীত পৃথিবীর নতুন অধ্যায়ে বাংলাদেশের মানুষ খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করেছে। এই যাত্রার অব্যাহত অগ্রগামীতায় মানুষ বেশী কর্মমূখী হয়ে পরায় আগামীর নেতা কর্মী এবং সরকারী কর্মকর্তা ও মন্ত্রী-এমপি এমনকি রাষ্ট্রপ্রধান পর্যন্ত ভুলে যেতে পারে। কারণ মানুষ কর্মমুখর এবং জীবন সংগ্রামে লিপ্ত থেকেই দিনাতিপাত করছে এবং করবে। বাকী বিষয়গুলোতে মনযোগ দেয়ার সুযোগ ও সময় অবশিষ্ঠ থাকবে বলে মনে হয় না। আর এই ফলশ্রুতিতে ভোট দেয়া এবং ভোট কেন্দ্রে যাওয়া বিষয়গুলো গৌণ হিসেবেই পরিলক্ষিত হবে। মূখ্য বিষয় বা মুখরোচক আলোচনার বিষয় এমনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব অথবা আমানত এই বিষয়গুলোর বিলুপ্তি ঘটবে বৈকি।
উত্তাল ‘২৩ এর বিদায়ে বলা যায় আসন্ন নির্বাচনী বৈতরণী উৎরাতে নির্বাচন কমিশনের কোন বেগ পেতে হচ্ছে না। কারণ সরকার এবং রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা দলগুলোর ইতিবাচক মনোভাব। দেশের তরে এবং জাতির ভাগ্যউন্নয়নে নির্বাচনমূখী দলগুলো নির্বাচনী আয়োজনে শতভাগ সহযোগীতা করে যাচ্ছে আর যারা নির্বাচন বিমূখ তারাও নির্বাচনী কাজে বাধা না দিয়ে ইতিবাচক এবং শান্তিপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে শতভাগ সহায়তা করে যাচ্ছে। বর্তমানের যোগসূত্র যেন এমনই হয়: সরকার + জনগণ + বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো + প্রশাসন + নির্বাচন কমিশন যেন একসূত্রে গাঁথা এক মেলবন্ধন।
নির্বাচন নিয়ে যা যা দেখলাম ও বুঝলাম তা হলো ক্ষমতা এবং স্বার্থ এই দুইয়ের মহড়া এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার আচমকা ছোবল এবং জয়। এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জয়ে ই যেন বর্তমান বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত এবং প্রচেষ্টার জোয়ার প্রবাহিত। তাই আগামীর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কাছে নিজেদেরকে সর্মর্পীত না করে বরং নিজেরাই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তায় পরিণত হওয়ার মহড়ায় নিয়োজিত থাকা দরকার। আর এই কারন ও প্রয়োজনেই আগামী দিনে এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বাজারে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নত দেশে রূপলাভ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পন যেন আগামীর বাংলাদেশকে হাতছানি দিয়ে ডাকাছে। আর ঐ স্মার্ট বাংলাদেশের শুভ সুচনায় ২০২৪এর যাত্রা শুভ হউক। ২০২৪ এর স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগণ এগিয়ে যাওয়া আর বদলে যাওয়া বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদেরকে জ্ঞানে-গুণে, সম্পদে, সুখে-শান্তিতে আর নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তায় সম্বৃদ্ধির অভয়ারণে ভরপুর থাকুক এই কামনা ও বাসনা আমার আপনার সকলের। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে শান্তিতে এবং নিশ্চিন্তে পথ চলতে সাহায্য করুক এই মিনতি সবার।
বিচ্ছিন্ন ঘটনার অঘটনে ভরপুর মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মাঝে সৃষ্টিকর্তা বাংলাদেশের মত শান্তি বিরাজমান রাখুক। বাংলাদেশ হউক বিশ্ব শান্তির মানদন্ড। সকল ক্ষেত্রে সকল কর্মে এবং সকল অবস্থায় বাংলাদেশের চলমান ও দৃশ্যমান শান্তির পরশ অব্যাহত থাকুক। দেশ পরিচালনায় বর্তমানের ধারাবাহিকতা চলমান থেকে বিশ্ব শান্তির রোল মডেলে পরিণত হউক। বিশ্বব্রম্মান্ডের শান্তি ও স্থিতিশীলত নিশ্চিত হউক আগামী ২০২৪এর শুরু থেকেই। শিখুন বাংলাদেশ থেকে : রাজনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রপরিচালনা, অপশক্তি বা নেতিবাচকতা নিয়ন্ত্রণ, মোটকথা শান্তি, স্থিতিশিলতা, অগ্রযাত্রা ও উন্নয়ন সফলতার গল্পগাঁথা জীবন্ত ও জলন্ত উদাহরণ থেকে। আসুন আমরা সৃষ্টিকর্তার দেয়া উপহার শান্তিকে, স্থিতিশিলতাকে এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির মুল চালিকা শক্তি সততা ও কঠোর পরিশ্রম, আন্তরিকতা, মানবিক মূল্যবোধ আর নম্রতাকে আলিঙ্গন করে ২০২৪ কে এগিয়ে নিয়ে যায়। ক্ষমা এবং ভালবাসার বন্ধনে স্থাপন করি নতুন ইতিহাস ও সম্প্রীতির সুদৃঢ় এক শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল বন্ধন।