প্রশান্তি ডেক্স ॥ জাপানে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও ধসে পড়া বাড়ির নিচে চাপা পড়ে আছেন অনেক মানুষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার নোটো উপদ্বীপে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সুজু এবং ওয়াজিমা শহরে অনেকে তাদের ধসে পড়া বাড়ির নিচে আটকে পড়েছে।
এদিকে ৭২ ঘণ্টা পর মানুষের জীবিত খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে। কয়েক হাজার বাসিন্দা এখনও বিদ্যুৎ ও পানি ছাড়াই রয়েছেন। ভূমিধস এবং অবরুদ্ধ রাস্তার কারণে কয়েকশ মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এর আগে বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ১৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা মঙ্গলবার দেশের পশ্চিম উপকূলের কিছু অংশে সুনামি সতর্কতা তুলে নিয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্পের ২৪ ঘণ্টা পরেও নোটো উপদ্বীপের উত্তর অংশে জনসাধারণের যাতায়াত সীমিত রয়েছে।জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, ভূমিকম্পের পর একটি ধসে যাওয়া রাস্তা ওই এলাকায় প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে।
সতর্কতা জারির পরই দেশটির একাধিক স্থানে সিরিজ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রাতারাতি সেখানে ১৫৫টি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেগুলোর বেশিরভাগের কম্পনই ৩ মাত্রার বেশি ছিল। ২০১৮ সাল থেকে নোটো উপদ্বীপ অঞ্চলে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর জাপান সরকারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।