প্রশান্তি ডেক্স ॥ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে কোনও চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে না। দায়িত্বের অংশ হিসেবে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে এসে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানানো হয়। বরং ভোটবর্জনকারী পার্টিদের পক্ষ থেকে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ভোটারদের ভোট দিতে যেতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে কিনা কূটনীতিকরা তা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমাদের তরফ থেকে চাপ সৃষ্টির কোনও কারণ নেই। তবে এটা আমাদের দায়িত্বের অংশ নির্বাচনে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে এসে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আবেদন রাখি। সেটা চাপ নয়। এটা হচ্ছে সচেতনতা। তবে চাপের কথা যদি বলেন একটি চাপ অন্যদিক থেকে হতে পারে। যেমন একটি বয়কটিং পলিটিক্যাল পার্টি, যারা ভোট বর্জন করছেন। তারা ভোটারদের চাপ সৃষ্টি করতে পারে যে আপনারা যাবেনই না। এটা আমরা ব্যাখ্যা করেছি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কারণ তারা সবসময় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে ইসি কার্যালয়ে এসেছেন। মতবিনিময় করেছেন। সেখানে তাদের সকলেরই প্রত্যাশা ছিল এবং এখনও আছে। তা হলো নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে। এই বিষয়টির ওপর তারা খুব জোর দিতে চান। আমরা আজ নির্বাচনের শেষ পরিস্থিতি তাদের অবহিত করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত কোন অবস্থানে আছি তা জানিয়েছি। তারা শুনেছেন। তারা দু-চারটা প্রশ্নও করেছেন। এর একটি হলো অভিযোগ কী পরিমাণ পাচ্ছি। আমরা প্রায় ৬’শর মত অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে ৪০০টির মতো ইন্টারটেইন করেছি। এ ক্ষেত্রে কী করণীয় তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের জানিয়েছি।
তিনি বলেন, ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের অবহিত করেছি, আমরা একটা অ্যাপস তৈরি করেছি। সেখানে ভোট গ্রহণ বিষয়ে দুই ঘণ্টা পর পর আপডেট দেওয়া হবে। এটা সকলেই জানতে পারবেন। স্বচ্ছতা ক্রেডিবিলিটির স্থানটি আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করার জন্য এই অ্যাপস করা হয়েছে। এদিকে কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বিকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন করেন তিনি।