ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জিয়াউর রহমান ক্যু করে ক্ষমতায় এসে একজন রাজাকারকে প্রধান মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রীও ক্ষমতায় এসে স্বামীর এক ডিগ্রি উপরে গিয়ে রাজাকারকে বানাইয়া দিলেন রাস্ট্রপতি । সেই সাথে তিনি দুইজন রাজাকারকেও মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে কসবা উপজেলার সুপার মার্কেট চত্ত্বরে নির্বাচনী গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্ততায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির জনক ও তাদের পরিবারের ১৭জনকে খুন করেছিল কিছু কুলাঙ্গার। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না। তারা বাংলাদেশে বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসেছে। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন ও বিলিন করে দেওয়া। তারা ২১ বছর ধরে বাংলাদেশকে শাসন করেছিল। দেশের কোন উন্নতি হয় নাই। কিছু লোকের পকেটের উন্নতি হয়েছিল। তারা দেশের মানুষকে গরীব থেকে আরো গরীব হওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আমরা দেখেছি এসব আমলে সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র ও ক্যু।
আইনমন্ত্রী বলেন, ইংরেজী একটি শব্দ আছে ক্যু। এটা আমরা কেউ জানতাম না। এই ক্যু করে জিয়াউর রহমান আমাদেরকে শিখাইয়াছেন ক্যু করা। এই ক্যু করা মানে জবাই করে দেওয়া। এই ক্যু করতে করতে নিজেই ক্যু এর বলি হয়ে গেলেন। এই ক্যু করেই এরাশদ ও ক্ষমতায় আসলেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দিলেন হ্যাঁ—না ভোট। জনগন ভোট না দিলেও একশ এক পার্সেন ভোট পেলেন। এরশাদও তা করলেন।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ জৈষ্ঠ সহ—সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানির সভাপতিত্বে¡ বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম ও রুহুল আমিন ভুইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, জেলা পরিষদ সদস্য উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. আবদুল আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন, কসবা পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রুস্তম খান, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ। পরে মন্ত্রী ওই মঞ্চে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেট কাটেন।