তাজুল ইসলাম ॥ দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচন কেমন ছিল বলতে গেলে বলা যায় স্বচ্ছ এবং জবাবদিহীতাপূর্ণ, অংশগ্রহণমুলক এবং উৎসবমূখর ছিল। সারা দেশ গুরে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো ছবি এবং বিশ্লেষণে বলা যায় একটি উদাহারণ হয়ে থাকার মত নির্বাচন হয়েছিল ঐদিন। নির্বাচন কমিশন ও সরকার শতভাগ সফল হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রের একটি ভোটের ছবি এবং কসবার পানিয়ারূপ গ্রামের একটি ছবি যুক্ত করে সফল নির্বাচনের দৃশ্যমানতা তুলে ধরছি। জনগণের স্বতস্ফুত অংশগ্রহন এই নির্বাচনের আমেজ ও গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে তোলে।
বর্তমান উল্লেখিত কেন্দ্রটিই হলো বর্তমান আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী আনিছুল হকের নিজ গ্রাম এবং তাঁর ভোট কেন্দ্র। তিনি এই কেন্দ্রটিতেই ভোট দিতে আসেন এবং লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। গ্রামের ভোটাররা তাকে অনুরোধ করে যেন লাইনে না দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করেন।
ভোটদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন এবং তাঁর বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হন। তিনি তাঁর বাড়িতে সাংবাদিক এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তাঁর বাড়িয়ে চায়ের দাওয়াত দেন। সকলের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা রেখেছেন। তিনি তখন বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান এর সঙ্গে কথা ফতেপুর কেন্দ্রে; তখন আনুমানিত সকাল ৮টা। মহিলা ও পুরুষদের ভিড়ে তিনি আপ্লুত এবং বলেন যে, তাঁর কেন্দ্রে ৪১শত ভোটের মধ্যে ৩হাজারের বেশী ভোট কাষ্ট হবে।
সৈয়দাবাদ কেন্দ্রে ইউপি চেয়ারম্যান জনাব বেদন খান এর সঙ্গে কথা হয় তিনিও বলেন তার কেন্দ্রে শতকরা ৭০ভাগ ভোট কাষ্ট হবে। এমনি করে কসবা ও আখাউড়ার প্রতিটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতি এবং সর্বশেষ ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করি। তবে কোন কেন্দ্রে অনিয়ম এবং উচ্চুঙ্খলতা পরিলক্ষিত হয়নি। সকলেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিয়মানুযায়ী সারিবদ্ধ লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। সকাল ৮টা-৪টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে ভোট কার্যক্রম পরিচালিত হয়। শতভাগ নিশ্চিত হওয়া এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করার মত একটি নির্বাচন যা আগামীর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।