দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে নানা জল্পনা ও কল্পনার অবসান ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে। টানা চারবার সহ পঞ্চমবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবে জানাই অভিনন্দন এবং শুভকামনা। নবগঠিত মন্ত্রীসভায় পুরোনো এবং নতুনের সমারোহ। এই মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়াদের জানাই অভিনন্দন ও শুভকামনা। আপনাদের মধ্যদিয়ে আমাদের গর্ববোধ সদা জাগ্রত থাকুক। আপনারা আমাদের অনুভুতিতে গেথে থাকুন। কাজের মধ্যদিয়ে বেঁচে থাকুন কিয়ামত পর্যন্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি কথায় উদ্বৃত্তি দিয়ে বলতে চাই যে, “নৌকা মার্কায় সব সমস্যায় সমাধান”। হ্যা তাই যেন হয়। সকলের দিক বিবেচনায় নিয়ে আপনাদের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখুন নিরষ্কুস সংখ্যাঘরিষ্টতার অভয়ারণ্যে।
এইবার যারা সংসদ এবং মন্ত্রী থেকে বাদ পড়েছেন তাদের জন্যও শুভকামনা। আপনারা আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন এবং আগামীতে পুনরায় মন্ত্রীসভায় যুক্ত হউন। প্রধানমন্ত্রী যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু করেছেন তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। সকল সংসদ সদস্যদের প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন এবং আগামীর শুভকামনা। আপনারা আপনাদের স্ব স্ব যোগ্যতায় এবং দলীয় আশির্বাদে নির্বাচীত হয়ে এসেছেন। তাই আগামীর তরে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখুন। বার বার বিজিত হওয়ার মূলমন্ত্রে নিজেদেরকে উজ্জ্বীবিত করুন। সৃষ্টিকর্তার স্ব মহিমায় নিজেদেরকে আর্ভিভুত করুন এবং প্রত্যেকে আমরা পরের তরে এই সেবার মানুষিকতায় পরিপূর্ণ হউন।
এবাবের মন্ত্রীসভা সুন্দর ও উপযুক্ত হয়েছে। এখন দেখার বিষয় প্রত্যেকের যোগ্যাতানুযায়ী কাজ ও আন্তরিকতা এবং চিন্তু ও কর্মের যোগসূত্র। এই সুন্দর মন্ত্রীসভার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই। আপনার দুরদর্শী চিন্তা ও কর্মের ফলে জাতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে এই নিশ্চয়তা জাতি পেয়েছে এবং আগামীতেও পাবে। বিশ্ব মানবতার মাথে থেকে বিশ্ব জননীতে রূপলাভ করুক আপনার আগামী। এই কামনাই করি। আগামীতে আপনার কল্যাণের তরে সৃষ্টিকর্তার নিকট মিনতি করি। আমি আপনাকে কাছে থেকে দেখেছি এবং আপনার কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে প্রতিকুল পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে সকল কিছু অনুকুলে নেয়া যায়। তবে সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভরশীল এবং তিনি আমাদের মঙ্গল চান। এটা আপনার এবং আমার ও আমাদের জীবনের জন্য দিবালোকের মত স্পষ্ট ও সত্য। বাস্তবতা আমাদেরকে এই শিক্ষায় দিয়ে যাচ্ছে।
আসুন আমরা বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রকৃতির আহবানে সাড়া দিয়ে বর্তমান লয়ে সামনে এগিয়ে যায়। নির্বাচন ছিল শান্তিপ্রীয় এবং শান্ত স্বভাবের। নির্বাচন পরবর্তী সময় এখন শান্তির ছায়াতলে নিশ্চিত গন্তব্যে ছুটে চলার এক অনন্য দৃষ্টান্ত ও উদাহরণ। আসুন আমরা যারা নির্বাচন বর্জন এমনকি হরতাল, অবরোধ এমনকি জালাও পোড়াও এ নিয়োজিত আছি; ফিরে আসি শান্তির ছায়াতলে শীতল পরশে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করি এবং আগামীর কল্যাণে বর্তমানের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে সামিল হই। জয় সুনিশ্চিত জেনে বাঙ্গালী সকল কাজে ঝাপিয়ে পড়ে এবং সফলতা ছিনিয়ে নিয়ে গড়ে ফিরে। এটাই বাঙ্গালীর স্বভাবের বৈশিষ্ট ও দৃষ্টান্ত।
২০২৪এর সুচনালগ্নে নতুন সরকার এবং নতুন আবহারও শান্ত পরশে ইতিবাচক সাফল্য কামনা করি এবং সকলের সঙ্গে নি:শর্ত ভালবাসার বন্ধনের আহবান জানিয়ে বিদায়। জয় হওক বাংলা ও বাঙ্গালীর সাথে নবগঠিত সরকার ও মন্ত্রীসভার।