প্রশান্তি ডেক্স ॥ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্টসি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের দেওয়া রিপোর্টের সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বলছেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সুন্দর, স্বচ্ছ নির্বাচন হয়েছে। সেটিকে ম্লান করার উদ্দেশ্যে টিআইবি এই রিপোর্টটি দিয়েছে।’
বিভিন্ন দেশ নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। পৃথিবীর শক্তিধর দেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ নতুন সরকারকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং আবার অনেকে এই সরকারের সঙ্গে কাজ করার ও সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সেই প্রেক্ষাপটে এই রিপোর্ট আসলে কারও পক্ষ হয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন রেখেছে অনেকে। কারণ বিএনপির ভাষা এবং টিআইবির ভাষা মিলে গেছে। রিজভী আহমেদ প্রতিদিন প্রেস কনফারেন্স করে যে কথাগুলো বলে সেগুলোকে একটু পরিশীলিতভাবে গতকাল টিআইবি উপস্থাপন করেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।’
সমালোচকসহ যারা এই নির্বাচন বর্জন করেছে, প্রতিহত করেছে, প্রতিহত করতে চেয়েছে, প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনও চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের মুখে অস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্য এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে বলে অনেকে বলছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেভাবে কঠোরভাবে, সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে সেটির বিন্দুমাত্র প্রশংসা টিআইবির রিপোর্টে নাই।’
তিনি বলেন যে সুশীল সমাজের যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের ভুল-ত্রুটি উপস্থাপন করে, সরকারের সমালোচনা করে আমরা সেগুলোকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করি। কিন্তু যখন রিপোর্ট হয়ে যায় কারও পক্ষ হয়ে, যখন রিপোর্ট হয় উদ্দেশ্য প্রণোদিত, তখন সেটি রাষ্ট্র, সমাজ, সরকারু কারও উপকারে আসে না। সেটি তখন বিশেষ কোনও গোষ্ঠীর মুখপাত্র হয়ে দাঁড়ায়। টিআইবি যেন বিশেষ কোনও গোষ্ঠীর বা নির্বাচন বিরোধী অপশক্তির কিংবা গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির মুখপাত্র না হয় সেটি আমাদের প্রত্যাশা।