ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নাছিমা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (১২জানুয়ারি) উপজেলার তমুলগ্রাম ইউনিয়নের একটি সেতুর নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নাছিমা আক্তার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিবড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, স্বামী তাকে হত্যা করে সেতুর নিচে ফেলে দিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছেন
নিহতের বড় বোন জামিয়া বেগম জানান, নাছিমার স্বামীর বাড়ি সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। প্রায় দুই যুগ আগে তার বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামীর পরকীয়ার বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। স্বামীর সাথে বনিবনা না হলে বাবার বাড়িতে না গিয়ে অধিকাংশ সময় আমার বাড়িতেই থাকতেন। জামিয়া বেগমের বাড়ি আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে নাছিমার স্বামী লিটন আসেন। এখানেও স্বামী-স্ত্রী তর্কের একপর্যায়ে নাছিমা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার স্বামী লিটন মিয়াও বেরিয়ে চলে যান। এরপর কেউই ফিরে আসেননি। সকালে লোকজনের মুখে শুনে গিয়ে দেখতে পান মুলগ্রাম সেতুর নিচে পড়ে আছে ফাঁস লাগানো তার বোনের লাশ। তাদের সন্দেহ পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের কারণে তার স্বামী তাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে ফেলে চলে গেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়ে তার গ্রামেরই নাছিমা আক্তারের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দেন।
নাছিমার স্বামী লিটন মিয়া বলেন, তার বোনের বাড়িতে তাকে আনার জন্য গিয়েছিলাম। তার বড় বোন আমার সাথে আসতে বলায় রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আমিও আমার বাড়িতে চলে আসি। সকালে শুনেছি সে মারা গেছে। কীভাবে কি হয়েছে আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে তারা। কসবা থানার ওসি মো. রাজু আহাম্মদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।