কসবায় শীতের সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ টানা কয়েক দিনের প্রচন্ড শীতে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগ। চিকিৎসকরা বলছেন ঠান্ডা বেড়ে যাওয়াই রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে রোগীদের ভিড়। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে ভর্তি হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বহী বিভাগ থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে  ৪ জনেরও  বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শীতের প্রকোপের সঙ্গে সঙ্গেই বেশির ভাগ শিশুরা সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও  নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শীতজনিত রোগে বাদ পড়েছেন না বয়স্ক মানুষেরাও।

গত এক সপ্তাহে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ বহি বিভাগ থেকে শুধুমাত্র শীতজনিত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫৪৩ জন।

শীতজনিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে চিকিৎসকরা অভিবাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর।

কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ ডাক্তার অরূপ পাল জানান, আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনে শিশু ও বয়স্করা নিজেদের ব্যালেন্স করতে না পেরে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন শীতজনিত রোগে স্বল্প মেয়াদী সহজ চিকিৎসায়, তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক কিংবা অন্য যে কোনো ওষুধ সেবন না করতে। পাশাপাশি শীত জনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে শিশুর গায়ে গরম কাপড় ছাড়াও হাত পায়ে মোজা পরাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.