প্রশান্তি ডেক্স॥ গ্রুপের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেলো বাংলাদেশ। গত শুক্রবার আমেরিকানদের ১২১ রানে হারিয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আরিফুলের সেঞ্চুরিতে ২৯১ রানের বড় স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। তারপর রাব্বির দারুণ বোলিংয়ে আমেরিকানদের ১৭০ রানে গুটিয়ে দিয়ে জয় নিশ্চিত করে তারা।
১১ রানে ওপেনিং জুটি ভেঙ্গে যায় যুক্তরাষ্ট্রের। প্রণব ছেত্তিপালায়ামের সঙ্গে সিদ্ধার্থ কাপ্পা ৭৫ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। সিদ্ধার্থকে (১৮) ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙ্গে দেন আরিফুল। একই ধারাবাহিকতায় ১১২ রানে চার উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রণব ৯০ বলে ৮ চারে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন।
উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ও অমোঘ আরেপাল্লি শেষ প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ৪১ রানের জুটি ভেঙ্গে দেন রাব্বি। বাংলাদেশি অধিনায়ক পরের ওভারেও নেন আরেকটি উইকেট। ৪৪তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রাব্বি। খুশ ভালালাকে ফিরিয়ে ১৭০ রানে যুক্তরাষ্ট্রকে গুটিয়ে দেন ইকবাল হোসেন ইমন। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে চার উইকেট নেন রাব্বি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিতলেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সুপার সিক্স নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। এমন সমীকরণ নিয়েই শুক্রবার মাঠে নেমেছে তারা। আগে ব্যাটিং করতে নেমে আরিফুল ইসলামের দারুণ সেঞ্চুরিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ২৯২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
ব্লুমফন্টেইনে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ২৯ রানেই আদিল বিন সিদ্দিক সাজঘরে ফেরেন। এরপর অবশ্য আশিকুর রহমান শিবলি ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। ৩৮ রানের জুটির পর শিবলি ব্যক্তিগত ২৭ রানে আউট হন। সঙ্গীকে হারিয়ে রিজওয়ান বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪০ বলে ২ চারে ৩৫ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন মিলে ১২২ রানের জুটি গড়ে দলের স্কোরকে তিনশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখেন। ৪২তম ওভারের শেষ বলে আহরার ব্যক্তিগত ৪৪ রানে আরিন নাদকার্নির বলে সাজঘরে ফেরেন। ততক্ষণে অবশ্য সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান আরিফুল।
আগের যুব বিশ্বকাপে টানা সেঞ্চুরি করা আরিফুল আরেকবার তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারেননি। ১০৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ১০৩ বলে ৯ চারে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার নিজের ইনিংসটি সাজান। এরপর শিহাব জেমস (৩১) ও শেখ পারভেজ জীবনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ তিনশর কাছাকাছি পৌঁছায়। যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের মধ্যে আর্য গর্গ সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া নাদকার্নি নিয়েছেন দুটি উইকেট।