বাআ ॥ রমজান মাস সামনে রেখে চাল, তেল, চিনি ও খেজুরের শুল্ক কমানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি জানান, সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
পরিশোধিত ও অপরিশোধিত উভয় ধরনের চিনি আমদানির ক্ষেত্রে সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি মেট্রিক টনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে; আগে যা ছিল দেড় হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি আমদানি শুল্ক কমিয়ে করা হয়েছে ২ হাজার টাকা, আগে যা ছিল ৩ হাজার টাকা।
পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। আর খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগামী সপ্তাহে আমদানিকারক এবং উৎপাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে এই শুল্কের প্রভাব যাতে শিগগিরই বাজারে পণ্যের ওপর পড়ে, সেটা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে জরুরি আইন প্রয়োগ করে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার একটু আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। আগে যেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলার পরও দাম কমেনি, সেটা আর হবে না। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
এদিকে এরইমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শুল্ক কমিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপনও প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক সুবিধা আমদানিকারকরা পাবেন আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। তবে এ সুবিধা পেতে আমদানির প্রতিটি চালানের বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার লিখিত অনুমোদন লাগবে। এছাড়াও প্রজ্ঞাপনে তেলের ক্ষেত্রে দেশে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বা ভ্যাট পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। আর আমদানির জন্য কমানো শুল্কের সুবিধা দেওয়া হবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এছাড়াও চিনির জন্য ৩০ মার্চ ও খেজুরের জন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুল্ক ছাড় সুবিধা পাওয়া যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।