রাজনীতির করনীয়তে এখন অনেক বিষয় যুক্ত। কিন্তু এই যুক্ত বিষয়গুলোকে আলাদা করা জরুরী। সরকার, বিরোধী দল, স্বতন্ত্র দল এবং সংসদের বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী নির্বাচন বর্জনকারী দল। এই সকলের মধ্যে এখন সমন্বয় ঘটানো জরুরী। নতুবা বাংলার উড়ন্ত পতাকা এবং অর্থনীতির গতিময়তায় ছেদ ঘটতে পারে। সরকার অভিজ্ঞ এবং এই অভিজ্ঞতা দিয়েই ঐসকল জটিল সমস্যার সমাধান করে আগামীর বাংলাদেশকে কলুষমুক্ত করে উন্নয়নের খনি এবং চলমান ধারাবাহিকতার সুতিকাঘর হিসেবে স্থায়ীত্ব দিবে।
এখানে স্পষ্ট যে দেশ এখন ত্রিধা ভাগে বিভক্ত কিন্তু তার প্রকাশ মাত্র দ্বিভাগে বিভাজিত হিসেবে। এক নির্বাচন মুখী দল আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে নির্বাচন বিমুখী দল। তবে যে যাই বলুকনা কেন তা কিন্তু সামনের দিনগুলোত স্পষ্ট হয়ে উঠবে জনতার বিভাজন ও বিতৃষ্ণায়। এইসকল ক্ষেত্রে সরকার নিত্য পণ্য সহজলভ্য, চাকরীর বাজার উন্মুক্ত এবং বেকারালয়ের চিরস্থায়ী প্রস্থান ও মৌলিক চাহিদার যোগানের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা। ন্যায় বিচার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ্য করানো। গরীবের বিচারে স্বচ্ছতা আনয়ন ও ধনী এবং ক্ষমতাশীলদের দুই ক্ষমতার লাগাম টানার আশু ব্যবস্থা। নবগঠিত মন্ত্রীসভা কোনক্রমেই আন্যায়কারীর পক্ষে অথবা আত্মীয়তার বন্ধনে অন্ধ হয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। সরকারের সকল ক্ষেত্রেই ন্যায়পরায়নতা এবং জবাবদিহীতা নিশ্চীত করতে হবে। মুখে বলে আপনজন এবং শাসন করি ও সকলের জন্য জীবন উৎসর্গ করি কিন্তু বাস্তবে এর ভিন্নতায় জনতার আস্থা ও বিশ্বাস নিমিষেই শুন্যের কোঠায় পৌঁছাতে সহায়তা করছে।
কর আদায়কারীদের জীবনের স্বচ্ছতা আনয়ন জরুরী হয়ে পড়েছে। নতুবা সরকারের করআয় বিঘ্নিত হবে এবং মানুষ করবিমুখ হয়ে পড়বে। চাকুরী প্রত্যাশিদের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চীত করতে হবে। সেবা প্রত্যাশিদের ক্ষেত্রে সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। সেবাদাতাদের মানুষিক পরিবর্তন এবং মুল্যবোধ চার্চার আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করে গুরুত্বারূপ করতে হবে। সেবা প্রত্যাশিদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। উপরি আয়ের পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।
ন্যয্যতা ও স্বচ্চতা এবং জবাবদিহীতা আর সেবার অগ্রাধীকার সহজলভ্যতা আনয়ন করতে হবে। মানুষের মৌলিক চাহিদার যোগানের সাথে আরো যুগের চাহিদুগুলোও পুরন করতে হবে। যুগের দাবি পুরন করে পৃথিবীর গতিময়তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে নিশ্চিত লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যবস্থা সকলের জন্য জাগ্রত ও উন্মুক্ত রাখতে হবে।
আত্মঅহমিকা এবং আত্মতুষ্টিতে ভোগা চলবে না। বরং আরো সজাগ ও সচেতন হয়ে চোখ – কান খোলা রেখে বর্তমানের দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুবা যেকোন সময় গর্তে পা পড়ে সকল অর্জন নি:শেষ হয়ে যাবে। ঐ ঘাপটি মেরে বসে থাকারা কিন্তু থেমে নেই। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রেই নেতিবাচকতা এবং পেছনে টেনে নেয়ার লোকের সংখ্যা অনেক। তাই খুবই সতর্ক হয়ে আগামীর করনীয় ঠিক করে বাস্তবায়নকল্পে এগিয়ে যেতে হবে।
নির্বাচন ও দ্রুত উন্নয়নবিমুখ যারা আজ তাদেরকে বলছি। সব ছেড়ে মসজিদে/ উপাসনালয়ে গিয়ে আরাধনা করুন। কারণ আপনাদের সকল কৃতকর্ম জনগণ দেখেছে এবং প্রত্যক্ষ করে বুঝতে পেরেছে এগুলো পুরোণো ধ্যান ধারনার। তাই এতেকরে কোন উন্নয়ন এবং অগ্রগামীতা সম্ভব না। তাই নতুন করে মসজিদ/মক্তবভিক্তিক শিক্ষায় দিক্ষা নিয়ে আগামীর তরে নতুন কিছু করুন। যা ইতিবাচক এবং সার্বজনীন কল্যাণের তরে। ধ্বংস নয় গড়ার কাজে নিয়োজিত হউন। পুরাতন ও জড়াজীর্ণতা দুর করে পাক-সাফ হউন। আপনাদের অতীতকে ভুলে যান এবং অতীতের নের্তৃত্বের চোরাবালি থেকে বের হয়ে এসে নতুন নের্তৃত্ব সাজান। পুরাতন স্বভাব বিসর্জন দিন এবং নতুন স্বভাব ও রাজনৈতিক অঙ্গিকার সুস্পষ্ট করে জাতির সামনে নিয়ে আসুন। যা হবে ইতিবাচক এবং কল্যাণের ও মঙ্গলের।
জেল-জুলুম, হত্যা এবং ভয় আর ধ্বংসের রাজনীতি ছাড়ুন। সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার প্রথম যাত্রাটি শুরু করুন। ঘৃণা ও ক্রোধে নয় বরং ক্ষমা ও ভালবাসায়। সৃষ্টিকর্তার ন্যায় বিচার সুস্পষ্ট এবং একটু চিন্তা করলেই তা প্রত্যক্ষ করা যায়। তাই সৃষ্টিকর্তার ন্যায়বিচারে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আগামীর কর্ম সম্পাদন করুন।