পারমাণবিক বোমারু বিমানে চড়ে পুতিনের হুশিয়ারী

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ অত্যাধুনিক পারমাণবিক-সক্ষম কৌশলগত বোমারু বিমানে চড়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত বৃহস্পতিবার টিইউ-১৬০এম বিমান; সামরিক জোট ন্যাটোর কোড নাম ‘ব্ল্যাকজ্যাকস’ এ ভ্রমণ করেন তিনি। গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে পুতিনকে বোমারু বিমানটির সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে মস্কোর পারমাণবিক সক্ষমতার একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন পুতিন।

রাশিয়া বিমানটির নাম দিয়েছে ‘হোয়াইট সোয়ান’। দৈত্যাকার বিমানটি কাজানের কারখানার একটি রানওয়েতে অবতরণ করে। আধুনিক সুপারসনিক বিমান তৈরি করার জন্য সুপরিচিত কারখানাটি।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, বিমানটি আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য। এটি নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ। রাশিয়ার বিমান বাহিনী এটিকে গ্রহণ করতে পারে।

বিমানটি কোল্ডওয়ার যুগের বোমারু বিমানের একটি আধুনিক সংস্করণ যা পারমাণবিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দূরত্বে অস্ত্র সরবরাহের জন্য ব্যবহার করত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।

আগামী মাসে রুশ নির্বাচনে পরবর্তী ছয় বছরের জন্য ভ্লাদিমির পুতিন আবারো প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানটিতে এমন এক সময়ে পুতিন ভ্রমণ করলেন, যখন রাশিয়া ইউক্রেনের একটি শহরের দখল নিয়েছে এবং তার কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনি কারাগারে মারা গেছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ বলেছেন, সামরিক গোপন পথে বিমানটিতে প্রায় ৩০ মিনিট ভ্রমণ করেছেন পুতিন। টিইউ-১৬০ এম বিমানে চারজন ক্রু রয়েছে। এটি ১২টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বা ১২টি স্বল্পপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এছাড়া বিমানটি জ্বালানিবিহীন প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার একটানা উড্ডয়ন করতে পারে। ৭১ বছর বয়সী পুতিন এর আগেও ২০০৫ সালে টিইই-১৬০ বিমানের পুরোনো সংস্করণে উড্ডয়ন করেছিলেন।

২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির অধীনে, রাশিয়ার বিমান বাহিনীকে ২০২৭ সাল নাগাদ ১০টি টিইউ-১৬০ পারমাণবিক বিমান সরবরাহ করা হবে। আর এতে খরচ হবে অন্তত ১৫ বিলিয়ন রুবল। বিমানটির নির্মাতা টুপোলেভ বলেছেন, আধুনিক সংস্করণটি পুরানো সংস্করণের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি কার্যকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published.