প্রশান্তি ডেক্স ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ, কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সব অঙ্গনে আরও বাংলাদেশি কর্মীকে নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গত শুক্রবার (৮ মার্চ) দুবাইয়ে মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ইউএইর আমিরাতের সব ট্রেডে সব শ্রেণির বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু করা, ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজ করার জন্য অনুরোধ জানান আব্দুল রহমানকে।
বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানে কোনও বাধা নেই জানিয়ে আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার প্রযুক্তিচালিত চাকরির বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার জন্য এআই এবং সম্পর্কিত সফটওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করেন। চাকরিপ্রার্থীদের দক্ষতা যাচাইপদ্ধতির বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাতগামী কর্মীবাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানান। সেখানে চাকরির বাজারের চাহিদা অনুসারে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রস্তুত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাষা প্রশিক্ষক নিয়োগের কথা জানান।
বৈঠকে ড. হাছান কুয়েত সরকারের বাংলাদেশি নার্স নিয়োগের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে যোগ্য নার্স ও চিকিৎসা পেশাজীবী নিয়োগের জন্য আমিরাতকে অনুরোধ করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রীর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় আসন্ন যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠকে কুয়েতি নিয়োগের মডেল পরীক্ষা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের কল্যাণমূলক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাইন অফ করা নাবিকদের সিডিসি নিয়ে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরগুলো ব্যবহারের চ্যালেঞ্জগুলোর কথা গুরুত্বসহ উত্থাপন করলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী এটি জরুরিভাবে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।