উত্তাল মার্চ আমাদেরকে কি শিক্ষা দিয়েছিল এবং আজও কি শিক্ষা দেয় তাকি আমরা জানি? উত্তাল মার্চের দিনগুলো আমাদেরকে স্বাধীনতা ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা এবং করনীয় ঠিক করতে চিন্তা ও কর্ম এবং বাস্তাবায়নের যোগসূত্রে একাকার করেছিল। সেই মার্চ ’৭১কি আজ বিলিনের পথে নাকি চির জাগ্রত হয়ে উন্নত শীরে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে নাকি নতশিরে যাতনা শইতে ও নিরপ প্রস্থানে জীবনের সমাপ্তি ঘটাতে চেতনা দিচ্ছে? মার্চ ’৭১ তো এখনো চির জাগ্রত এবং মানুষের মনের গহীনে প্রোথিত রয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে তিনটি দলে বিভক্তিও রয়েছে। একটি পক্ষে আর অরটি বিপক্ষে এবং মাঝামাঝি অবস্থানে ছিল তৃতীয়টি। যাদেরকে বলা যায় সুযোগ সন্ধানি বা সুবিধাভোগী। আজকে সুযোগ ও সুবিধা ভোগে লিপ্তরা বেশীরভাগই মাঝামাঝি অবস্থান এবং বিপক্ষের লোকজন। তবে সংখ্যায় কম সংখ্যক আছে ’৭১এর পক্ষের লোকজন। তাই চেতনায় বিলীন হওয়ার পথে ’৭১এর মর্মবানী।
জেল-জুলুম-অত্যাচর কি বন্ধ হয়েগেছে নাকি খোলস বদলিয়ে নতুনত্ব নিয়ে আম জনতার উপর হামলে পড়ছে। তবে অত্যাচার ও নির্যাতনের স্বীকারে পরিণত হওয়ারাই জানে এর ভয়াবহ বিভিষিকাময়তা। আজকের দিনে বলতে হয় বন্ধু ছিলে তুমি বঙ্গবন্ধু এবং বন্ধু হলে তুমি জননি শেখ হাসিনা তবুওকি পারলে তোমার লোককে রক্ষা করতে? পারলেনা কারন তোমার চারিদিকেই রয়েছে তোমাকে দুর্বল করার প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টার প্রয়োগ ও বাস্তবায়নকারীরা। তাদের ছোবলেই তোমার হৃদয়ের টুকরাগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে দিনকি দিন। যারা জেল-জুলুম অত্যাচার ও নির্যাচন সয়ে তোমাকে এবং দলকে সম্মানীত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারাই আজ কোনঠাসা। কে রাখে কার খবর। রাষ্ট্রের শত সমস্যা সমাধান করতেই দিনরাত একাকার তোমার। তোমার প্রচেষ্টার কমতি নেই এবং ছিলওনা এমনকি থাকবেও না তারপরওতো রক্ষা করতে পারলে না তোমার নিজের আপনজনকে।
সবচেয়ে বড় কষ্ট হলো নিজ সরকারের সময়ে আঘাত-নির্যাতন এবং শোষণ ও বঞ্চনার স্বীকারে পরিণত হওয়াটা। তাহলে রেহাই কোথায়? আজ শুধু নিজজীবন ও বাস্তবতার নিরীখেই এই কথাগুলো মনের অজান্তে প্রকাশ করলাম মাত্র। সামগ্রীক চিত্র এবং সময় সবই এই লিখার বিরুদ্ধে। এখনও সময় অছে আমাদের সকল দায়িত্ব প্রাপ্তরা সংশোধন হওয়ার এবং ব্যক্তিস্বার্থ ও আত্মীয়স্বাস্থ্য চরিতার্থের উদ্ধেউঠে এসে জনতার স্বার্থ্য ও সুরক্ষায় মনোযোগ দেয়ার। ন্যায়-পরায়নতা দিকে নিয়োজিত থাকা। কানকথা কুপরামর্শে নিজেকে নির্বোদের মত নিয়োজিত না করা। বরং নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধি এবং চিন্তা চেতনার সহ ধারাবাহিক বাস্তবতার নিরীখে পদক্ষেপ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। এই মার্চ’৭১ কে স্মরণে নিয়ে কাজ করার। এই মার্চের শিক্ষা আমাদের এবং এর সফলতাও আমাদের তাই এই মার্চের শিক্ষা যেন কোনদিন আমাদের বিপক্ষে না যায় সেইদিকে লক্ষ্য রাখা এবং সেই মোতাবেক কাজ করার সময় এখন।
সাধারণ জনগণের উপর চাপানো দায় যত কমানো যায় তার দিকে মনোযোগ দেয়া জরুরী। এই জরুরী প্রয়োজনে এবং প্রদক্ষেপে জনতার অংশগ্রহণ যত বেশী হবে ততই মঙ্গল। সাধারণ জনতা, ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও সরকার একসঙ্গে একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের চাপ সামলানোতে মনোনিবেশ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানুষের কল্যাণে এবং জনতার চাপ কমানোতে মনোনিবেশ করেছেন যা দৃশ্যত বর্তমান। তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন সরকার এবং জনগণ উভয়কেই। কিন্তু দিকনির্দেশনা পরিপালনেই যত সমস্যা। উনার নেয়া পদক্ষেপে মানুষ খুশি এবং উপকারভোগীও বটে কিন্তু তা সংখ্যায় কম। সংখ্যায় বাড়ানোর প্রয়োজনীয় অনুভব করছি এবং সময়ের যৌক্তিক দাবিতে পরিণত করতে সকলের ভুমিকা পালনে আহবান জানাচ্ছি।
একজন মানুষ একার পক্ষে এইসকল চলমান জঞ্জাল সামাল দেয়া সম্ভব নয় তাই তিনি সরকারে এবং মন্ত্রীসভায় লোক নিয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন। এখন দায়িত্বপ্রাপ্তরা চোখ-কান খোলা রেখে স্থিরিকৃত কর্মপন্থা বাস্তবায়ন সুচারুরূপে করলেই শতভাগ জনকল্যাণ সাধিত হবে। নতুবা মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী যত চেষ্টাই করুকনা কেন তা শতভাগ সফল হবে না। আসা যাক সৃষ্টির কথায়- সৃষ্টিকর্তা বাবা আদমকে সৃষ্টি করার পর একা রাখতে চাননি তাই তিনি তাঁর সঙ্গি হিসেবে মা হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন। তারপর তিনি তাদের বহুবংশ করার ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠালেন পৃথিবীকে দেখাশুনা ও পরিচর্যা করার জন্য। তিনি কিন্তু শুধু দুজনেই সিমাবদ্ধ থাকলেন না বরং বিশাল এই পৃথিবীকে দেখা-শুনা ও পরিচয্যা এবং নিজেদের শাসনের অধীনে আনার জন্য বংশ বৃদ্ধির সক্ষমতা দিয়ে বহুবংশ এবং বিশাল জনসংখ্যায় রূপান্তর ঘটালেন যা আজও অব্যাহত। তাই আসুন আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বটুকু নি:স্বার্থভাবে লি:লোভভাবে সম্পাদন করি। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ও অভিপ্রায় পরিপূর্ণ করি। মার্চের শিক্ষা যেমন কঠিক ও কঠোর ঠিকন তেমনি হলো এই রমজানের শিক্ষা। উভয় শিক্ষার আলোকে আমাদের জীবন সাজাই এবং সাম্য ও ভাতৃত্ববোধ সকল ক্ষেত্রে জাগিয়ে তুলি। সামগ্রিক কল্যাণ এবং সামগ্রিক জীবনাচরণের যোগসূত্রতে সাম্য ও ভাতৃত্ব বোধকে সংযুক্ত করে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় ও ইচ্ছ আকাঙ্খার বহি:প্রকাশ ঘটাই। এই কামনা ও প্রতাশায় আগামীর নতুন কোন লিখার আশা ব্যক্ত করছি।