প্রশান্তি ডেক্স ॥ মুক্তিযুদ্ধে ‘জেড ফোর্স’র সেনা কর্মকর্তা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আজকে একটি জিনিসে আমরা শঙ্কিত। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে মিয়ানমারের যুদ্ধের পর দেশটিতে এখন অভ্যন্তরীণ সংগ্রাম চলছে, যাতে বাইরের শক্তিগুলো জড়িত। ধীরে ধীরে হয়তো বাংলাদেশকেও একসময় আন্তর্জাতিক চাপে যুদ্ধে জড়ানো লাগতে পারে। তাই আমাদের যুবকদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সভার পর ব্রিফিংয়ে কমিটির আহ্বায়ক মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ছাত্র-যুবকদের দক্ষিণ কোরিয়া, ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশের মতো সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ছাত্র-যুব সমাজকে একটি সিটিজেন আর্মিতে ভবিষ্যতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কখনও বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সারা দেশের সাধারণ মানুষ যাতে প্রতিরোধ করতে পারে। সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি যাতে ছাত্র-যুবকরাও সংগ্রামে যুক্ত হতে পারে, সেজন্য বিএনপি উদ্যোগ গ্রহণ করবে, যদি আমরা আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাই। আমরা কোনও নির্জীব জাতি নই। একাত্তরে সবাই দেখেছে বাঙালি দুধর্ষ, সাহসী একটি জাতি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমরা তার প্রমাণ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমাদের আবারও নতুন করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, বিদেশি শক্তির হাত থেকে দেশবাসীকে মুক্ত রাখার জন্য, চিন্তার স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে হয়তো ভূমিকা রাখতে হবে।’
হাফিজ বলেন, ‘এবারের স্বাধীনতা দিবসটি আমাদের জন্যে এই কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যকে যেহেতু বাস্তবায়ন করতে পারিনি-বিএনপি এই সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবে এবং আমরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়িত করবো। মুক্তিযুদ্ধের সুফল জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারবো।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অভিহিতি করে তার ওপর সরকারের মিথ্যা মামলা দায়ের, সাজা প্রদান এবং নির্যাতনের কঠোর সমালোচনা করেন হাফিজ।