বাআ ॥ ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে নৃশংসভাবে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন সজীব ওয়াজেদ। স্বাধীনতা দিবসে করা এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে নির্মম গণহত্যার একটি এই ঘটনা (২৫ মার্চ)। এটির পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পায়নি, যা মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থনকারী বিশ্বশক্তির বিবেকের এক স্পষ্ট ব্যর্থতা।
তিনি তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের মধ্য রাতে কুখ্যাত অপারেশন সার্চলাইটের নামে পাকিস্থানি দখলদার বাহিনী ঢাকায় এক ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করে। গণহত্যা, সন্ত্রাসের কারণে শহরে ছড়িয়ে পরে আতঙ্ক। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতার উদ্দীপ্ত শিখা নেভাতে পাকসেনারা দেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও সাহসী মানসিকতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যবস্তু করে। নিরস্ত্র হলেও তাদের গণহত্যা করা হয়। এমনকি তাদের যথাযথ দাফনও করা হয়নি।
তিনি লেখেন, বেশ কয়েকজন বিদেশী সাংবাদিক সেই ঘটনা পরবর্তীতে প্রকাশ করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তা, ভাষা ও সংস্কৃতির আন্দোলনের কারণে পাকসেনারা ভয়ে ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, সেই ভয় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ভয়ের বিষয়টি বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারের বিষয়ে দুই পাক অফিসারের মধ্যে পাঠানো একটি বার্তার মাধ্যমে। “বড় পাখি খাঁচায় আছে”, মুজিবকে গ্রেফতারের বিষয়ে এভাবেই বার্তা দিয়েছিলেন পাক অফিসাররা।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, পাকবাহিনীকে সমর্থনকারী বাহিনী এখনও আমাদের রাজনৈতিক ভূখন্ডে সক্রিয়। আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করতে প্রস্তুত। তবে আওয়ামী লীগের প্রতি জনসমর্থনের জন্য তারা ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি লেখেন, আসুন ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। আমাদের বীর যোদ্ধারা যারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন দেশকে তাদের স্বপ্নের মতো বিশ্বের জন্য একটি মডেলে রূপ দেওয়ার অঙ্গীকার করি।