সর্বপ্রথমে আল্লাহকে শুকরিয়া…
প্রীয় শুভাকাঙ্খী এবং বন্ধু-আত্মীয় পরিজনসহ সবাইকে সালাম ও কৃতজ্ঞতা।
আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী এবং পরিচর্যায় বিগত ৫১টি বছর শান্তিতে অতিক্রান্ত করেছি। শরীরে অনেক রোগের বাসাছিল কিন্তু কার্যাকারীতা বা আক্রমনের প্রখরতা ছিলনা বা দেখিনি এমনকি অনুভবও করিনি। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র আল্লাহর দয়া ও সুরক্ষা এবং পরিচর্যার কারণে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং অজানা হার্টের ব্লক সবই ছিল মজবুত। কিন্তু ছিলনা তাদের কোন ক্ষমতা। আর সেটি ছিল আমার ঈমান ও বিশ্বাস এবং আমলের বদৌলতে। আল্লাহ আমাকে সর্বময় রক্ষা করে যাচ্ছেন এবং যাবেন। আমি আল্লাহর সঙ্গে সঙ্গে আছি এবং শেষঅব্দি থাকব। জীবনের পরাজয়ে মৃত্যুর মধ্যদিয়ে আল্লাহর সঙ্গে পুনরায় মিলিত হয়ে একসঙ্গে বেহেস্তে জীবন-যাপন করব ইনশাআল্লাহ।
আপনাদের সকলকে শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জানাই যে, আমার অসময়ে পাশে থাকার জন্য। দোয়া করার জন্য এবং পরিবারের খোজ খবর নেয়ার জন্য। যদিও আমি কাউকে জানাইনি বরং আপনারাই নিজে থেকে জেনে নিয়ে করনিয় কর্তব্য ও দয়া এবং সহমর্মীতা প্রদর্শন করেছেন। আমি আজীবন কৃতজ্ঞ এবং আপনাদের জন্য প্রাণভরে দোয়া করব এবং নিশ্চিত বেহেস্তে যাওয়ার ব্যবস্থায় সহভাগী হবো।
গত একমাস আমার বিভিন্ন পরিক্ষা চলছিল যার তত্ত্বাবধানে ছিল আমার স্ত্রী ও ডা: নির্জরানী জোয়াদ্বার। তাদের পরামর্শ শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সহিত মেনে সকল কিছুই করেছি। কোথাও উর্ত্তীর্ণ হয়েছি কোথাও হতে পারেনি। কিন্তু আমি পরিশ্রান্ত নই বরং ঈমান ও বিশ্বাসে শক্তিশালী থেকে সামনে অগ্রসর হয়েছি। তারপরও তাদের ইচ্ছায় এবং পরামর্শে গত ১৮/০৩/২৪ তারিখ এনজিওগ্রাম করাতে যাই। আমার ধারনা ছিল আমার কোন সমস্যা নেই এবং অনুভবও করিনি। কিন্তু এনজিওগ্রামে পরীক্ষার ফলে পাস করতে পারিনি। যদিও আমি ভীত নই বরং আরো আনন্দিত ও উদ্বেলিত ছিলাম। শুধু আমার শুভাকাংখীরা চিন্তিত ছিল। ঐ পরীক্ষায় আমার বাম পাশে মূল রগে ৯৫ ভাগ ব্লগ এবং ডান পাশে মূল রগে ৮৫ভাগ ব্লগসহ মাঝখানে ৫০ভাগ ব্লগা চিহ্নিত হয়। তখন আমার স্ত্রী ও ডাক্তারগন দুটি রিং পরিয়ে আমাকে সিসিইউতে পাঠিয়ে পরিচর্যায় রেখে পরবর্তীতে পোষ্ট ক্যাড এ আবার একদিন পরিচর্যায় রেখে বাসায় নিয়ে আসেন। আমি আমার স্ত্রী ও ডা: নির্ঝরানী জোয়াদ্বার এর নিকট কৃতজ্ঞ এবং ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে। আমার এই জানির্তে আমি শতভাগ ফিট ছিলাম যা রিং পরানোর পূর্বে এবং পরে আমার ঈমান ও বিশ্বাস আমাকে একই অবস্থানে রেখে পুরোদমে সুস্থ্য রেখেছেন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কয়েকদিন অবসর জীবন কাটাতে হচ্ছে। তবে আমি খুবই অল্প সময়েই আবার আমার কাজে ফিরে যাব এবং আপনাদের সকলের সঙ্গে আগের ন্যায় যোগাযোগ স্থাপন করব। এই অনাকাঙ্খিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার জন্য দু:খিত। আর আপনাদের ভালাবাসা ও আন্তরিকতার কাছে কৃতজ্ঞ ও ঋণী। সবাই ভাল থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ আমাদের সকলের সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। আমাদের মঙ্গলের জন্য তিনি সকল সময়ই কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর কাছে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশায় তিনি অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন।
আল্লাহকে শুকরিয়া এবং আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও দোয়া মোনাজাত অবিরত।
তাজুল ইসলাম