বাআ ॥ সহিংসতা বিষয়ক কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসারে- ‘হিংস্রতা সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বা কাল্পনিক ঘটনার উল্লেখ (যেমন, এমন কনটেন্ট যা ঐতিহাসিক বা কাল্পনিক হিংসামূলক পরিচিত ঘটনার উল্লেখ করে অন্যকে হুমকি দেয়)’ এমন পোস্ট না করার জন্য বলা হয়েছে। করলে পর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফেসবুক তা সরিয়ে নেবে বা কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করা হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যায় ভিআইপি নিউজ ২.০ তার মার্চ ১২ এর একটি পোস্টে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর গোপন বৈঠক মিয়ানমারকে নিয়ে’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করে যা কল্পনা প্রসূত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে মিয়ানমার সামরিকজান্তাদের চীন সহায়তা করছে এবং তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র চাপ প্রয়োগ অব্যহত রেখেছে এমন তথ্য প্রচার করা হলেও, এই ভিডিওতে দাবি করা হয় মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে সহায়তা প্রদান করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটি বাংলাদেশকেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে গোপন বৈঠকে। কিন্তু এমন একটি কনটেন্ট এখনও ফেসবুকে রয়ে গেছে। কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি মেটার পক্ষ থেকে।
পুরাতন নিউজের অডিও চালিয়ে পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক নিয়ে নতুন করে গুজব প্রচার করা হয়। ফেসবুক কমিউনিটি গাইডে ‘মিডিয়া কারচুপি’ হিসেবে এই ভিডিওটি উত্তম উদাহরণ। ভিডিওর শিরোনামে বলা হয়েছে- ‘আঃ লীগ শেষ নির্বাচন আবার হবে/ সিঙ্গাপুরে গোপন বৈঠক বিএনপি পিটার হাসের।
কমিউনিটি গাইডলাইনে বলা হয়েছে- আমরা এই নীতির অধীনে থাকা নিচে দেওয়া নির্দিষ্ট মাপকাঠি পূরণ হলে ভিডিওগুলো সরিয়ে দিই: (১) স্বচ্ছতা বা গুণমান মানানসই করা ছাড়াও ভিডিওটি এমনভাবে এডিট করা বা সিন্থেসাইজ করা হয়েছে যে একজন সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে তা আর স্পষ্টভাবে দেখার মতো নেই এবং ভিডিওতে এমন কিছু শব্দ বলা হয়েছে যা সম্ভবত একজন সাধারণ ব্যক্তিকে ভিডিওর বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত করবে এই শব্দগুলো আসল ভিডিওতে ছিল না এবং (২) ভিডিওটি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা মেশিন লার্নিংয়ের প্রোডাক্ট, যার মধ্যে রয়েছে গভীরভাবে কিছু জানার কৌশল (উদাহরণ, কোনো প্রযুক্তিগত ডিপফেক), যা একটি ভিডিওতে কনটেন্ট মিশিয়ে দেয়, একত্রিত করে, বদলে দেয় এবং/বা সুপারইম্পোজ করার পর এমন একটি ভিডিও তৈরি করে যা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়।