ভজন শংকর আচার্য়্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কসবা উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করায় বিহ্মুব্দ উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ গত শুক্রবার সকালে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে আহবায়ক কমিটি পূনঃবহালের দাবি জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের নিকট। সভায় দাবীকরা হয় ছাত্রলীগ জেলা নেতৃবৃন্দ টাকার বিনিময়ে রাতেঁর আধারে একাজ করেছেন।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায় গত পাচঁবছর যাবত কসবা উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক কমিটি দারা পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন বিবাহ করেছেন,যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম গত ৪ বছর যাবত ইটালিতে অবস্থান করছেন। অপর যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক বর্তমানে কোনো কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন না। তিনি দীর্ঘবছর যাবত কাজীগিরী করছেন। পাচঁ বছর যাবত সম্মেলন করতে না পাড়ায় জেলা ছাত্রলীগ এই কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছেন গত বুধবার ২৭ শে মার্চ মধ্য রাতে । জেলা কমিটির সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাহ্মরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় ছাত্রলীগ নেতা বিলুপ্ত কমিটির সদস্য এস এম শাফায়েত হৃদয়ের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মনির হোসেন,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল হক পলাশসহ আরো ১০/১২ ছাত্রলীগ নেতা।
ছাত্রনেতারা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিলুপ্ত আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় বিহ্মুপ্ত ছাত্রলীগ রেল পথ,সড়ক পথ বন্ধ করে দিবে। এবিষয়ে বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন বলেন– অগনতান্ত্রিক ভাবে আমাকে না জানিয়ে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে । এতে আমি মর্মাহত হয়েছি। আফজাল বলেন – আমি মনে করি মাদক ব্যবসায়ী,ভূমিদস্যু পরিবেশ নিধন কারিদের দ্বাারা প্রভাবিত হয়ে এই কাজটি করা হয়েছে। বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক বলেন– আমাদের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে অগনতান্ত্রিক ভাবে জেলা কমিটি আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা সাংগঠনিক বিধি মোতাবেক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেছি। আপনারা জানেন, আহবায়ক কমিটির মেয়াদ তিনমাস। এই কমিটি পাচঁ বছর হয়েছে। কমিটির আহবায়ক বিবাহিত, যুগ্ম আহবায়ক একজন বিদেশে অপর একজন কুটি ইউনিয়নের কাজী। এই কমিটির অধিকাংশ চাকুরিজীবী। তাই আমরা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেছি। যারা বলেছে টাকা খেয়ে রাতের আধারে কমিটি বিলুপ্ত করেছি তারা যদি সঠিক প্রমাণ দিতে না পারে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইগত ব্যবস্তা নেয়া হবে। দুই ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি যথাক্রমে এমরান উদ্দিন জুয়েল ও মনির হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ওকিল নোটিশ করবো। তারা যদি যথাযথ কারণ দশার্তে না পারে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা করবো।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন, আসলে ওরা আমদের ওপর অভিযোগ আনছে এসব মিথ্যা। এরা ক্ষোভ থেকে এসব বলছে। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে কসবা উপজেলা আহবায়ক কমিটি। দলিয় শৃঙ্খলার জন্যই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।