ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবার আকছিনা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের ইজারার পুকুরে বিষ ঢেলে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ নিয়ে গেছে এলাকার কিছ’ চিহিৃত দুর্বৃত্ত। আরো প্রায় ৩ লাখ টাকার মৃত মাছ পুকুরের পানিতে ভাসছে। এ ঘটনায় মাছ চাষী শরিফ মিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া (২৫) ও মোঃ সানু মিয়া (৫৫) এর সঙ্গে জমি ক্রয় নিয়ে র্দীঘদিন যাবত শরিফ মিয়া তার ভাই কাউছার মিয়া ও হাবিব মিয়ার সংগে মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছে। সানু মিয়া জমি বিক্রী করে ৪০ লাখ টাকা বায়না নিয়ে বর্তমানে জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের জমি দলিল করে না দিয়ে অন্যত্র বিক্রী করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে কোর্টে মামলা করলে সানু মিয়াকে কোর্ট আটকিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে। জেল থেকে জামিনে বের হয়ে সানু মিয়া ও তার পুত্র সালাহউদ্দিন বিভিন্ন সময় প্রাননাশের হুমকী প্রদান করে আসছে।
গত শনিবার (৬ এপ্রিল) তারা পরিকল্পিত ভাবে রাতের আধারে আনুমানিক রাত ১১টায় পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ ধরতে থাকে। ওই পুকুরের পাশেই শরিফ মিয়াদের গরুর খামার ও ৭টি মৎস্য চাষের পুকুর রয়েছে। পুকুরের আওয়াজ পেয়ে শরিফ মিয়া ও তার দুই ভাই যথাক্রমে কাউছার মিয়া ও হাবিব মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন চিহিৃত দুর্বৃত্ত সালাহউদ্দিন ও তার পুত্র সানু মিয়াসহ অঞ্জাত ৪/৫ জন ব্যক্তি বিপুল পরিমান মাছ নিয়ে যেতে খাকে।
এ বিষয়ে হাবিব মিয়া গ্রামের কয়েক জন লোক নিয়ে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকী দেয় সানু মিয়া ও তার পুত্র সালাহউদ্দিন।
অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোঃ রাজু আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত পূর্বক আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অভিযুক্ত সানু মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী সাজিয়া খাতুন ফোন রিসিভ করে বলেন, সানু মিয়া বাড়িতে নেই। যা বলার আমাকে বলুন। গত রাতে মাছ নিধন করার কথা জিজ্ঞাসা করতেই সাজিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামী ও ছেলে অসুস্থ। জমি বিক্রয় করার কথা স্বীকার করে বলেন, শরিফ মিয়ারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানী করছে। তারা মামলা করতে থাকুক আমরাও মামলা বাইতে থাকি।
এ বিষয়ে কসবা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান মানিক বলেন, তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।