প্রশান্তি ডেক্স ॥ বাংলাদেশ সরকার ২০০৭ সাল থেকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (ঞঠঊঞ) এবং দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বহুগুণ বাড়িয়েছে এবং দেড় দশক পর এই বিনিয়োগের ফলাফল অনেকটাই দৃশ্যমান। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদর দফতরে আয়োজিত গ্লোবাল স্কিলস ফোরামে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইএলও’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
দৃশ্যমান পরিবর্তনগুলোর পাশাপাশি পুরো ব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ নিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও সদর দফতরে আয়োজন করা হয় দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল স্কিলস ফোরাম। পরিবর্তনশীল বিশ্বে দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ এবং অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করার জন্য সরকার, চাকরিদাতা, শ্রমিক প্রতিনিধি ও উন্নয়ন অংশীদারদের এ আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
আইএলও-এর মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হংবো বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার, আইএলও, ইইউ এবং কানাডার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন। হংবো গ্রিন স্কিলস ডেভেলপমেন্টর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রশমন এবং অভিযোজনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব জনাব ফারুক আহমেদ দক্ষতা উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অপরিহার্য ভূমিকা তুলে ধরেন। শিক্ষামন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিসহ নারী, ক্ষৃদ্র নৃ গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতো প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য সমপর্যায়ের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ সহজগম্য করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। মন্ত্রী শিল্প খাত ও উন্নয়ন অংশীদারদের জীবনব্যাপী শিক্ষা বা লাইফ লং লার্নিংকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নে সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে প্যানেল প্রতিনিধিরা ২০০৭ সাল থেকে তাদের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার, আইএলও ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রশংসা করেন, যা জাতীয় দক্ষতা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। সরকারের উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী করার জন্য কার্যকর অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।