জমে উঠেছে কসবার উপজেলা নির্বাচন

প্রশান্তি ডেক্স ॥ লড়াই হচ্ছে শেয়ানে শেয়ানে তবে একজন গভীর শেয়ান আর একজন অতিভদ্র শেয়ান। দুজনেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ নেতা। দুজনেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ও সহসভাপতি। এই দুইজনকে কেন্দ্র করেই চলছে সাধারণ মানুষের জল্পনা এবং কল্পনা। তবে সাধারন মানুষ নতুন মুখের সন্ধানে সদালাপী এবং নম্র ও ভদ্র; সম্মান পাবার যোগ্য এমনকি সম্মান করায় পারদর্শীকে অগ্রগামী হিসেবে বেঁছে নিবে। এই ক্ষেত্রে নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়ানো প্রতিনিধিদের পাঠানে তথ্যে ফুটে উঠেছে আগামীর সকল ভাবনা এবং নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার সকল স্বচ্ছ সদিচ্ছা।

বর্তমানকে আঁকড়ে থাকাদের মানুষ এখন আর পছন্দ করেন না। তাই মানুষ খুজে নতুনত্ব। তবে এই ক্ষেত্রে বর্তমানের প্রতিও মানুষের ইচ্ছা এবং আকাঙ্খা থাকে আর সেই ইচ্ছা ও আকাঙ্খার প্রতিফলন যেখানে ঘটবে সেখানেই মানুষের জয়জয়াকার হয়। সেই হিসেবে বর্তমানে যিনি পদে আসীন এবং একটি নয় দুটি পদে তিনি মানুষের জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানে পারেন নি বরং জন বিমুখতায় পর্যবসীত হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোটার এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রতিনিয়ত নির্বাচনি মহড়ায় অগ্রগামী থেকেও তাকে ভোট না দেওয়ার শতভাগ অঙ্গিকার করে যাচ্ছে। ভোট না দিলে জনসমাবেশে গিয়ে লোক দেখানো কার্যক্রমে থেকে বরং ক্ষতিই করে যাচ্ছেন। এমন হাজারো লোক আমাদের প্রতিনিধির কাছে গোপন সত্য প্রকাশ করেছেন।

কেন তারা মুখ ফিরিয়ে নিলো কারণ মর্যাদা এবং আকাঙ্খার প্রতিফল না ঘটার কারনে। দ্বিতীয় চাহিদা ও প্রাপ্তির সমন্বয়ে বিরাট ঘাটতি থাকার কারণে। কেউ কেউ বলে হামছে বড়া কন হ্যা ভাবের কারণে। উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমান বেশী হওয়ায়। আনিছ পরিবারভুক্ত হওয়ায়। দানিছ পরিবারভুক্ত না হওয়ায়। শুধু আয় রোজগারে ব্যস্ত থাকায়; ব্যায় বা প্রয়োজনীয় যোগানে অপর্যাপ্ত ঘাটতি থাকায়। তাই এই প্রার্থী থেকে বিমুখ এখন আম জনতা। ক্ষমতা এবং বাহাদুরী ও অর্থ এই তিনের সমন্বয়ে কিছুটা দৃশ্যমান থাকলেও এসকল বিষয়ে ভোটযুদ্ধে কোন উপকার হবে না বরং জামানত হারানোর উপক্রমেও পরিণত হতে পারে। মোট কথা গ্রহণযোগ্যতার বাজারে এখন কাঁচা বাজারে সয়লাব হয়ে একাকারাবস্থা। তাই এর থেকে বের হওয়ার এইমুহুত্বে কোন সুযোগ নেই অপরদিকে খোদার ন্যায় বিচারও আসন্ন। তবে যদি এখনও অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে উদারতায় এবং মানবতার কল্যাণের তরে নিজেকে নিয়োজিত রেখে  ভবিষ্যতের উদার এবং মমতায়পূর্ণ একজন নি:শর্ত সেবক হিসেবে প্রমান করতে পারেন তাহলে হয়তো ফলাফল ভিন্নও হতে পারে।

অপরদিকে দারিদ্র হালেতে দাঁড়িয়ে জনতার অর্থে, শ্রমে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই আরেক প্রার্থি। তিনি ইউপি সভাপতি থেকে চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা সহ সভাপতিসহ নানান পদে উপাদিপ্রাপ্ত। তার দায় দেনা পরিশোধে জনগণ মরিয়া। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায়, চায়ের ষ্টলে এবং পরিবারের ড্রয়ীংরুমে পর্যন্ত ঝড় তুলে এমনকি কালবৈশাখী ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে জয়ের দ্বারপ্রান্তে। এ জয় হবে জনতার এবং মেহনতি মানুষের, সম্মানী ও শিক্ষিত আর ভদ্রচিত আপামর কল্যাণকামী আত্মমানবতার। এ জয় হবে নিষ্পেষিত মানুষের এবং আলেম বুজুর্গানে দীনি ঈমানদারদের। এ জয় হবে দল-মত নির্বিশেষে সকলের। এ জয়ে নেই কোন দাম্বিকতা, অহংকার, লোভ এবং পরোপকারের মানষিকতা, অসম্মান ও অশ্রদ্ধার আভাষ। এই জয়ে নেই কোন অর্থৈর জৌলুস এবং ক্ষমতার বাহাদুরী। এখানে রয়েছে শ্রদ্ধা, ভালবাসা, ক্ষমা এবং নম্রতার আহাজারি।

এই জয়ের জন্য জনতা বেধেছে জোট আর প্রার্থী মাত্র উপলক্ষ এবং একটি অলংকার মাত্র। এই সবই উঠে এসেছে এলাকার মেঠো পথের চিত্র এবং মুজুর-কুলি, শিক্ষক, উলামায়ে কেরাম ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষের হৃদয় থেকে। আর এই মানুষটিকে ভাগ্যবান হৃদয়ের আপনজন হিসেবেই কসবা উপজেলাবাসী আশির্বাদস্বরূপ বেঁছে নিয়েছেন। মিলিয়ে নিয়েন আগামী ২১ তারিখ সন্ধারাত্রের সংবাদে।

জনাব ছায়দুর রহমান স্বপন সাহেব অমায়িক মানুষ যাকে আমি ব্যক্তিগতভাবেও চিনি এবং জানি। যার শৈশব থেকে কৌশর এবং যৌবন আর এখনের পৌড়ে পদাপর্ণের সময় সেই একই অমায়িকতায় আচ্ছাদিত সজ্জ্বন ব্যক্তি হিসেবেই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন ও শোভাকাঙ্খিগণ এখন আনন্দের আত্মোউপলব্দির প্রখর গুণছেন। এই স্বপনের আভির্ভাবে কসবাবাসী ধন্য। আর এইজন্য মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ও জনতার মনের গহীনে ও গভীরে পৌঁছেছেন। গত ইউপি নির্বাচনের ন্যায় এবারও স্বচ্ছ এবং জবাবদিহীতাপূর্ণ জনগণের অভীপ্রায়ের কাংখিত নির্বাচন উপহার দিয়ে যাচ্ছেন ইতিহাসের স্বর্ণজ্জ্বোল অধ্যায় সৃষ্টি করে।

কসবা উপজেলা নির্বাচনে সর্বকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ভোটার উপস্থিতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং স্বচ্ছ ভোট এবং স্বচ্ছ ফলাফলও আগামীর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ভোটপূর্ব নির্বাচনী জরীপে ৮০% ২০% হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন জনাব ছায়দুর রহমান স্বপন। এই ফলাফলও মিলিয়ে নিয়েন আগামী ২১ তারিখের সন্ধার খবরের পর। আর যারা অতি উৎসাহি ঘুরে আসুন কসবা উপজেলার অলিতে-গলিতে এবং আপামর জনসাধারণের অভিপ্রায় জেনে আসুন। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে রয়েছেন উপজেলার ৯টি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি  য়ারম্যান এবং তাদের মেম্বারগন। রয়েছে কসবা পৌর মেয়র, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং কৃষকলীগ নেতা ও কর্মীগণ; পাশাপাশি রয়েছেন সাধারণ ও অতি সাধারণ মানুষ। এই সকল হিসেবে নিকেশে এখন নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন স্বপন সাহেবের কাপ-পিরিচ। জয় হউক স্বচ্চতা ও জবাবদিহীতার এবং গণমানুষের জন আকাঙ্খার। সামনে আরো তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের মত এখানেই বিদায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.