ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামে গ্রামে ভোটারদের মাঝে কালো টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে আনারসের প্রতীকের উপজেলা চেয়াম্যান পদপ্রার্থী রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের বিরোদ্ধে। এ বিষয়ে পলাশ মিয়া নামে এক ব্যক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন। অপরদিকে তার বিরোদ্ধে উপজেলার বায়েক এলাকায় নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন করার অভিযোগ এনেছেন বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
অভিযোগে প্রকাশ, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোনাঘাটা গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন। তিনি আইনমন্ত্রী মহোদয়ের একান্ত সহকারী থাকাকালীন চাকুরী বানিজ্য, আদালতে তদবীরসহ সাব-রেজিস্টার বদলী করে শতকোটি টাকা অবৈধ ভাবে উপাজর্ন করেছেন। ২০১৮ সালে তিনি বিনা ভোটে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে অধিষ্টিত হন। তিনি বিগত ৫ বছরে বহু প্রকল্পের টাকা আত্নসাৎ করে হুন্ডির মাধ্যমে তার ভাইয়ের নিকট বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন। তিনি অবৈধ টাকা উপার্জনের মাধ্যমে ঢাকার আরামবাগে বিলাসবহুল বাড়ি, কমলাপুরে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও কসবা শহরে কোটি টাকা ব্যয়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি নিমার্ন করেন। নামে -বেনামে তার বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর অনেক সম্পত্তি রয়েছে।
রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন বর্তমানে কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিটি গ্রামে কালো টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনছেন। গত ১৪ মে পলাশ মিয়া নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করায় তাকে রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে তলব করা হয়েছে। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান-রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের পক্ষে নিবার্চন না করে কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপনের পক্ষে নিবার্চন করায় আমাকে ও আমার দলের নেতা কর্মিদের অশালীন গালমন্দ করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটানিং অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের বিরোদ্ধে দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাসেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের সাথে এবিষয়ে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।