ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ কসবায় কঠোর নিরাপত্তায় দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদের সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবে ৮৩ কেন্দ্রেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি ছিলো কম।
নির্বাচনের দায়িত্বে রেপিড একশ্যান ফোর্স, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, গোয়েন্দা পুলিশ একযুগে কাজ করেছেন । ঝুঁকিপূর্ন বেশ কিছু কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ অবস্থান করো দায়িত্ব পালন করেছেন।
নির্বাচনে ছাইদুর রহমান স্বপন কাপ পিরিচ প্রতিকের ৮৫৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন পেয়েছেন ৩৯৯৫৭ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ শফিকুল ইসলাম চশমা প্রতিকে ৭৬৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন পেয়েছেন ৪৯৫৯১ ভোট। তাছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাইদা সুলতানা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঐদিন (নির্বাচনের দিন) দুপুরে জাল ভোট দেয়ার অপরাধে আকছিনা গ্রামের ময়নাল হকের পুত্র মো. সজিব (২২) কে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়া মান্দারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে গিয়ে মান্দারপুর গ্রামের বিরাজ মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া (২৪) ও সহিদ মিয়ার পুত্র রুকন মিয়া (২৩) কে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন সহকারী রিটানিং ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
টেবিলে ভোট দিয়েছেন নার্গিস নামে এক গৃহবধূ কসবা উপজেলার কুটি অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে। মহিলাদের ৪ নম্বর বুথে নার্গিস আক্তার নামে এক গৃহবধূ টেবিলে ভোট দেয়ায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই মহিলা ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়েছেন। তাই তাঁকে মার্জনা করি। বাঁধ সাধে কিছু সাংবাদিক ও স্থানীয় মানুষ। তাঁর সংগে সাংবাদিকদের কথাকাটি হলে ডেইলি স্টার পত্রিকায় এনিয়ে অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করেন ।
আমরা বিষয়টি নিয়ে দুঃখ পেয়েছি। তিনি বলেন, গ্রামের একজন গৃহবধূকে কী ক্ষমা করা যায় না?