গত ৪/৬/২০২৪ইং তারিখ সন্ধায় একজন মন্ত্রীর অমায়ীক ব্যবহারে মুগ্ধ হতে না পাড়লেও জ্ঞান ও বিজ্ঞানের সমালোচনা করার সুযোগ হয়েছে। শিষ্টাচার শব্দটির নতুন অর্থ খুজতে এবং সেবা এবং সেবক এই শব্দ দুটির মানে বুঝতে অপারগতা প্রকাশের যথেষ্ট কারণ ও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমার এই প্রীয় মার্তৃভূমি বাংলাদেশে এবং প্রীয় দল এমনকি নিজদল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকারের সময় সরকারের নিযুক্ত মাননীয় মন্ত্রী যিনি আমার ও আমাদের অহৎকার জনাব মোক্তাদির সাহেব একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আরেকজন মুক্তিযোদ্ধকে যিনি মোক্তিযোদ্ধ সংসদ এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমনকি সিনিয়র সিটিজেন এই ভদ্রলোককে অপমান করে ছেড়েছেন। অপরাধ হলো তিনি মন্ত্রীর রুমে প্রবেশ করে একজন মুক্তিযোদ্ধা আরেকজন মুক্তিযোদ্ধার আবেগ বিনিময় এবং অধিকার নিয়ে একটি কথা বলা। কিন্তু জনাব মাননীয মন্ত্রী মহোদয় ঐ মুক্তিযোদ্ধাকে চরম দু: ব্যবহার করে বের করেছেন এবং বলেছেন চলে যান আগামীকাল আমার অফিসে আসুন। এটাই কি ক্ষমতা এবং সেবা আর দায়িত্ব ও সহবত এমনকি শিষ্টাচারের মানবিক গুনাবলীর শিক্ষা। যদি তাই হয় আমি এই শিক্ষা এবং সেবা উভয়কেই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। এমনকি জনতার সামনে নতুন শিক্ষার বাহারি ব্যবহারকে তুলে ধরি যাতে জনতাও এই থেকে নেতিবাচক নয় ইতিবাচক করনীয় ঠিক করতে পারে।
কথায় আছে সৎ সর্গে স্বর্গবাস এবং অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। তাই দেখলাম আর কি? আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের আবেগ আছে এবং এলাকার মানুষের প্রতি বিষম টানও আছে কিন্তু এই ক্ষেত্রে এই প্রথম দেখলাম এর বিপরীত। জনাব মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের রাজনৈতিক এপিএস মহোদয় আমার পরিচিত এবং বহুবার একসঙ্গে চা ও আড্ডা হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীর পরের ধাপে আমি উনাকে বললাম ভাই (নাম সম্বোধন করে) আর তখনই তিনি বললেন আমি আপনাকে চিনি না। বাহ চমৎকার।
জনগণের জন্য সেবকের ভুমিকায় এমপি ও মন্ত্রীরা কিন্তু এ কেমন রীতি ও নীতি? কিভাবে এর থেকে রেহায় পাওয়া যায় তা এখন ভাবার বিষয়। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের সকলের সম্পদ এবং গর্ব ও অহংকার। তাই আপনার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানের অবসান চাই।
৫/৬/২৪ইং রোজ বুধবার মাননীয মন্ত্রীর কথানুযায়ী ওনাকে সম্মান করে ওনার সচিবালয় অফিসে যোগাযোগ করতে গেলাম। কিন্তু তিনি তখন মধ্যাহ্নভোজে ব্যস্ত। আমরা অপেক্ষা করলাম। অপেক্ষার প্রখর শেষে অল্পসময়ের জন্য ওনার মুখদর্শনের সুযোগ পেলাম। আর ঐ সুযোগে মন্ত্রীমহোদয় মুক্তিযোদ্ধার ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন। আক্রামনাত্মক ভাষায় কথা এবং ইন্টারভিউ নেয়া শেষে বললেন কেন আসছেন আমার কাছে? ইত্যাদি! এরপর বললেন; এই কাজ আমার না এটা রাজউকের। তখন বলা হলো এটা আপনারই কাজ কারণ আপনিই আমাদের বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছেন এবং আপনার লোকই আমাদের ক্ষতি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখানে আমার আবেদন এবং উপযুক্ত প্রমান রয়েছে। তখনও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের রাগত স্বর এবং উত্তপ্ত; আর এই সময় আমি একটু শান্ত পরিবেশের আশায় প্রসঙ্গ পাল্টাতে চেষ্টা করি কিন্তু তিনি কোন কথাই না শুনে আপনি আসছেন কেন বলে আমাকে ক্ষেয়প্রতিপন্ন করে! আমি বলাতে তিনি আরেকটু উচ্চতায় অগ্রসর হয়ে নিজের অফিসকে মাছবাজার না বলেন এমনকি আরো বলেন আমাকে বাইরে অপেক্ষা করতে?। আসলে আমি ওনার এলাকার এবং ওনি এলাকা তথা সমগ্র দেশের মন্ত্রী (সেবক)। তিনি কিন্তু শাসক নন। তারপরও কেন এমন ব্যবহার! তাহলে মন্ত্রীদের ব্যবহার কি এমনই না আমি অনেক মন্ত্রীর সহকর্মী এবং বন্ধু এবং ভাই হিসেবে সুপরিচিত। বর্তমান সরকারের শুভাকাঙ্খী এবং জীবন বাজী রেখে সরকারের পক্ষে কাজ করা এবং নি:র্লোভ কর্মী। যদি আমার এলাকার পরিচয় দিয়েছি কিন্তু অন্যকোন পরিচয়ই দিতে তিনি কোন সুযোগ দেননি। আসলেই তিনি কি অসুস্থ্য নাকি এটাই উনার স্বরুপ। যা উন্মোচনে তিনি সবসময়ই ব্যতিব্যস্ত। তাই যদি হয় তাহলে সংবিধান এবং সেবা ও সেবকের দায়িত্ব এই সবকটিই বিফল। আমার প্রশ্ন তাহলে সেবার এই মহান দায়িত্বটুকু কিভাবে তাঁর দ্বারা সম্পাদিত হবে?
তবে যেখানে ওনি নিজে চিঠি লিখে সমস্যার সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তিনি দায় চাপিয়েছেন রাজউকের এসাইনম্যান অফিসারের উপর। কেন এসাইনম্যান অফিসার ওনার কথা বলল সেটাই তিনি অপরাধ মনে করে পৃথিবীর যথ অশিক্ষীত ও অমার্জিত ভাষা আছে তার সবকটিই ব্যবহার করেছেন এবং ঐ অফিসারকে বদলি বা অন্য কোন ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। যা দৃষ্টিকটু ও লজ্জার। ঐ কর্মকর্তা বলেছেন স্যার আপনি আমাকে চিঠি দিয়ে আদেশ দিয়েছেন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তাই আমি আপনার আদেশ পালন করেছি। তখন বলেন আমি মন্ত্রী আর তুই… কত অবৈধ টাকা কামিয়েছো ইত্যাদি ইত্যাদি …। একজন শ্রদ্ধাভাজন অনুকরনীয় ও অনুসরনীয় মানুষ এমন হয় তা আমার অজানা ছিল এবং দেখারও বাকি ছিল যা আজ দেখলাম। তবে ছোটবেলায় গ্রামে মুরুব্বীদের মুখে শুনেছি যার লাগিয়া করিলাম চুরি সেই বলে চোর। এই কথাটি যথার্থ্যই হয়েছে ঐ দিনের আচরণে। আর এই কথাটিও শুনেছিলাম পানি নিচের দিকে গড়াই হ্যা হয়েছেও তাই। সবাই উপরওয়ালার ইচ্ছা।
শিক্ষিত এবং ক্ষমতাধরদের ভাষা ও ব্যবহার কি এমনই হয়? নাকি আরো কঠোর কিছু আছে? শিক্ষার আলো ছড়ানোদের ভাষা ও ব্যবহার এবং আপ্যায়ন কি এমনই হয় নাকি অন্য কিছু তাও আমার প্রশ্ন। কথায় আছে আমলা যা মানুষ ব্যবহার করে কিন্তু আমি এই শব্দটি ব্যবহার করি না কিন্তু আজ এই শব্দটির পরিচয় এবং কেন ও কাদের দ্বারা পরিচয় হয়েছে তা আবিস্কার এবং উৎপত্তিস্থল দেখিলাম। অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং লিখার সময় কষ্ট হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও চেতনা এবং জ্ঞান ও আদর্শ আমাকে উদ্ভুদ্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় এমনকি সোনার বাংলায় এমন মানবিক এবং অমায়িক ব্যবহার ও আপ্যায়নকারী থাকতে পারে কি পারেনা তা এখন সরকার প্রধান এবং জনগণের রায়ে প্রকাশিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এই অসৌজন্যতা কামনা এমনকি দৃষ্টান্ত হিসেবে চির জাগ্রত থাকুক তাও চায় না। বঙ্গবন্ধু এই দেশ স্বাধীন করেছেন মানুষ একটু ন্যায্যতা, আশ্রয়, মধুর কথা এবং ভালবাসা মিশ্রিত সেবা সমান্তরাল ভাবে সাধারণ এবং অতি সাধারণ ও জনগণ এমনকি জনপথের অতি দরিদ্রের মাঝে বিলিয়ে দিতে। কিন্তু তা কি এই কাহিনীতে প্রতিফলিত হচ্ছে বা ভবিষ্যতে কি হবে তা এখনই খতিয়ে দেখার দায়িত্ব আমার ও আপনার এবং সকলের। অহংকারী এবং দাম্বিক ও বদমেজাজি মানুষদের দ্বারা কি জনতার সেবা সাধিত হবে এবং রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং শেখ হাসিনার অভিপ্রায় শতভাগ প্রতিফলিত হবে? তা এখন ভেবে দেখার বিষয়। এটা আমার জীবনের প্রথম এবং চরম নেতিবাচক অভিজ্ঞতা। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি মাননীয় সম্মানীত মন্ত্রীর কাছে এবং আমার মত কষ্ট পাওয়া লোকদের কাছে। তবে আমার অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জনতার ফরিয়াদ হিসেবে এই বিষয়টি উপস্থাপন করে অপেক্ষায় থাকলাম। লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক সাপ্তাহিক প্রশান্তি এবং আইটি উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী,পরিচালক, বেঙ্গল ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লি:, কনসালটেন্স দেশী ও বিদেশী আন্তর্জাতিক সংস্থা, উপদেষ্টা ফ্রাইডে রিভিও, সভাপতি সাপামা এবং সদস্য বেসিস।