স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাজেট

সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া বাজেট এখন পরিচর্য্যায় রয়েছে। এই পরিচর্য্যাকালীন  সময়ে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাজেট কার্যকরী এবং ফলপ্রসুতায় রূপদানের সফল বাস্তবায়ন গ্রহণযোগ্য দৃষ্টান্ত হিসেবে আগামীর জন্য উপহার হিসেবে রেখে যেতে হবে। সংসদে এবং সংসদের বাহিরে যারা বাজেট নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে বিভিন্ন বক্তব্য এবং মতামত উপস্থাপন করে যাচ্ছেন তা যতেচ্ছাই শব্দবোমা বা সাময়িক পরিবেশ গরম করা ছাড়া আর কিছুই না। বিগত দিনগুলের বাজেট এবং তৎপরবর্তী সকল কিছুই জাতি প্রত্যক্ষ করেছে এবং এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

বাজেট অধিবেশন চলছে এবং চলবে আর সময়ের শেষে বাজেট পাস হয়ে কার্যকর হবে। তবে আমাদের দেশে বাজেট উপস্থাপনের পর থেকেই কার্যকর শুরু হয়। যা দীর্ঘদিনের প্রচলিত রীতিতে পরিণত হওয়া একটি অলিখিত প্রক্রিয়া বা মাধ্যম। কথার জন্য কথা, বলার জন্য বলা এবং সমালোচনার জন্য সমালোচনা আর নিজেকে জাহির করার জন্য দৌঁড় ঝাপ এবং লাফ দেয়া ছাড়া আর কি? জাতি বা জনগণ এই বাজেট নিয়ে অতিতেও মাথা ঘামায়নি এবং বর্তমানেও না। তবে জনগণের কষ্ট লাগবের প্রত্যাশা সরকারের প্রতি অবিরত ও অব্যাহত রয়েছে। কর এবং করের বোঝা ও মুল্যস্ফিতি নিয়ে কোন ভাবনা জনগণের নেই।

ভাবনা হলো নিত্যপন্যের সহজলভ্যতা বা দাম নাগালের মাঝে থাকা। কর্মসংস্থান ও সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগীতা এবং সেবামূলক আচরণ অব্যাহত রাখা। সরকারের নেয়া পদক্ষেপকে জনগণ সাধুবাদ জানায় এবং সহযোগীতাও করে যাচ্ছে কিন্তু জনগণের প্রত্যাশানুযায়ী সকল কিছুর যোগান পাচ্ছে না। ঘাটতি রয়েছে এবং ব্যবহার ও  সেবার দায়িত্বপ্রাপ্তদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে জনগণ সরকারের উপর মনোকষ্টে বিরাগভাজন হচ্ছে। যদিও সরকার আন্তরিক এবং সরকার প্রধান জনবান্ধব এমনকি জনগণের সম্পদ কিন্তু সেই জনবান্ধব সরকার প্রধানের সঙ্গে কাজ করাদের রূঢ় এবং অসৌজন্যমূলক ব্যবহার এবং লাঞ্চনা ও বঞ্চনায় নিস্পেষিত হচ্ছে আগামীর ভবিষ্যত এবং সমর্থন এমনকি ঐক্যবদ্য যোগান।

এখনই সময় ঐসকল দাম্ভিক এবং শিক্ষিত সরকারে থাকা সরকারবিরোধী শত্রুদের লাগাম টানা। নতুবা এদের দ্বারাই দলের বৃহৎ ক্ষতি সাধিত হবে এবং আগামী দিনগুলোতে জনগন বিমুখ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিবে। জনগণকে রাষ্ট্রের মালিক ভেবে সেবার মানুষিকতা সম্প্রসারিত করতে হবে। জনগণের প্রবেশাধিকার উন্মক্ত করে সেবার মানুষিকতা এবং ব্যবহারের মাধুয্য বাড়িয়ে তুলতে হবে। জনগণকে কখনোই ছোট ভেবে নিজেকে বড় মনে করে কোন ব্যবহার বা আচরণ প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষ করানো যাবে না। অসম্মান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে মন্ত্রী; এমপি এবং সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের। ইদানিং এই হীন্যকর্ম প্রত্যক্ষ হচ্ছে এবং জনগণকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের স্বরে অপমানিত করে ক্ষমতার মসনদে শান্তি অন্বেষণ করে যাচ্ছেন যা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁরই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভীপ্রায়ের বিরুদ্ধে। বাজেটে জনবান্ধব এবং জনআকাঙ্খার প্রতিফলন উচ্চারিত হয়েছে এবং এর সুষ্ঠ্য বাস্তবায়ন জরুরী হিসেবে জনআকাঙ্খায় রূপলাভ করেছে। বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করবে এই বাজেটকে। কর আরোপ এবং কর রেয়ায় আর কর আদায় এই তিনের মধ্যে স্বচ্ছতা আনয়ন জরুরী। এই তিনের কোন একটিতে ঘাটতি হলে বাজেট সফলতা পুরোপুরি স্বার্থক হবে বলে মনে হয় না। তাই এই সকল ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন জরুরী। পরিশেষে বলি জনআকাঙ্খার দিকে মনোনিবেশ করুন এবং মনযোগ দিন। জনগণকে সম্মান করতে এমনকি সম্মানের সহিত সেবা দিতে মানুষিকতা বদলিয়ে স্ব স্ব কাজে ভুমিকা রাখুন। তাহলে জনগণ আপনাকে এবং রাষ্ট্রকে আর সর্বোপরি সরকারকে দ্বিগুণ ইতিবাচক প্রতিদান দিবেন। এই নিশ্চয়তা নিয়েই আপনাদেরকে স্ব স্ব ভুমিকা পালনের অনুরোধ জানাচ্ছি। আসছি আগামীবার আরো নতুন কোন অনুরোধ এবং আকাঙ্খা নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.