প্রশান্তি ডেক্স ॥ এ মাসে দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। সব কিছু ঠিক থাকলে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে নতুন সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনাই হবেন প্রথম সরকারপ্রধান যিনি ভারত সফর করবেন, জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কবে নাগাদ এ সফর হতে পারে জানতে চাইলে ওই সূত্র জানায়, সম্ভাব্য তারিখ ২১ থেকে ২৩ জুন। এই তারিখ মাথায় রেখেই তারা সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ২১ ও ২২ জুন ভারত সফরে থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ৯ জুন ভারতের নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন শেখ হাসিনা। শপথ গ্রহণের পর দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয় এবং উভয় নেতাই একে অপরকে সফরের আমন্ত্রণ জানান। পরে স্থানীয় এক হোটেলে গান্ধী পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা। ৮ থেকে ১০ জুন ভারত সফরের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।
এর আগে দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য ভারতের নির্বাচন চলাকালীন সময়ে মে মাসে ঢাকা সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ভিনয় কোয়াত্রা এবং এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লি সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে বড় পরিবর্তন আসে। কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ সহযোগিতা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভুত উন্নতি হলেও কিছু অমিমাংসীত বিষয় রয়েছে।
ভারতের অগ্রাধিকার হচ্ছে নিরাপত্তা এবং সেটি বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে পানি এবং এক্ষেত্রে তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি বন্টন নিয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি। এছাড়া ভারতের সীমান্ত বাহিনীর হাতে বাংলাদেশি হত্যা এবং বাণিজ্যের কিছু কিছু ক্ষেত্রে নন ট্যারিফ ব্যারিয়ার নিয়েও জটিলতা রয়েছে। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা এখন আগের যেকোনও সময়ের থেকে বেশি। মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ, ভারত ও জাপানের মধ্যে কানেক্টিভিটি সহযোগিতার সম্ভাবনা থেকে শুরু করে নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানিও করছে বাংলাদেশ।