প্রশান্তি ডেক্স ॥ ছাগলকান্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ১০১৯ শতাংশ জমি জব্দের (ক্রোক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে দুদকের পক্ষে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন এই আবেদন করেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে বরিশালের মুলাদি উপজেলায় মতিউরের নামে ১১৪ শতাংশ জমি, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মরজাল ইউনিয়নের মরজাল মৌজায় লায়লা কানিজের নামে ৫২২ দশমিক ৫২ শতাংশ জমি, তাদের ছেলে আহমেদ তৌফিক অর্ণবের নামে ২৭৫ দশমিক ৮৭৫ শতাংশ জমি, ফারহানা রহমান ইপ্সিতার নামে ১০৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ জমি রয়েছে।
চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে লায়লা কানিজের নামে বসুন্ধরায় একটি ফ্ল্যাট ও শাম্মী আখতার শিভলীর নামে জিগাতলায় একটি এবং বসুন্ধরা আবাসিকে একটি এবং ফারহানা রহমান ঈপ্সিতার নামে বসুন্ধরা আবাসিকে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এসব তথ্য জানান।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডার ইনভয়েসিং/ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালতের বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
আবেদনে আরও বলা হয়, অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিগুলো ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।
এবার ঈদুল আজহার সময় মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপনের সূত্র ধরে মতিউরের সম্পদের বিষয় আলোচনায় ওঠে আসে।