প্রশান্তি ডেক্স ॥ কাদের উস্কানিতে এই আন্দোলন চলমান তা এখন ষ্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে এবং নিজেদের ষড়যন্ত্রে নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। এতদিন কোটাবিরোধীরা ছিল সাধারণ ও অরাজনৈতিক ছাত্র। তাদের আন্দোলনও ছিল অরাজনৈতিক ব্যানারে। কিন্তু বর্তমানে সেই অরাজনৈতিক ব্যানার এখন মুক্তিযোদ্ধ বিরোধী ব্যানারে পরিণত হয়েছে। বিএনপি ও জামাত শিবিরের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ছত্র-ছায়াই এই আন্দোলন। এই আন্দোলনে শরীক হয়ে আম জনতা এখন লজ্জ্বিত। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা যারা ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছে তারাও লজ্জ্বিত এবং নিজেদেরকে অপরাধী বোধে শরীক করেছে।
যাই হোক এই বিষয়টি কোর্টের বিচারাধিন তাই এই বিষয়ে বলার চেয়ে বরং অপেক্ষার প্রখর গুনাই সবচেয়ে মঙ্গলজনক। তবে এই বিষয়ের সুত্রপাত এবং ক্ষতির বিষয়গুলো আজ জাতির সামনে ভাসমান। তাই কথা না বলে বসে থাকার কোন সুযোগ নেই। বিএনপি এবং জামাত-শিবির আর জনাব তারেক রহমানসহ গংরা ভেবেছিলেন এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তারা সত্ত্বর ক্ষমতার চেয়ারে বসবে। কিন্তু এইসকল দু:স্বপ্ন মৃত মানুষেরাই করে ও দেখে, জিবীতরা করে না এমনকি দেখেওনা। তাই আজ মৃতদের মুত্যুপুরীতে আমরা কেন অসহায় বা জীম্মি। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে এসে এদের প্রতিহতে ভুমিকা রাখা জরুরী।
তাই বিভেক এবং দেশপ্রেম এই দুইয়ের সমন্বয়ে জাতিকে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ উপহার দেয়াই এখন সময়ের দাবি ও যুগের চাহিদা। তাই আসুন তৃতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়ে পরিচিত করি।