প্রশান্তি ডেক্স ॥ চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে ঢাকার নিম্ন আদালতে। আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও আসামির সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
ঢাকার জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে মূলত সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মানুষের পদচারণা বেশি থাকে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) এ সময় কোনও ভিড় দেখা যায়নি। আদালত প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মামলায় কোনও বাদী এলে আসামি আসেনি। আবার কোনও মামলায় আসামি এসেছে কিন্তু বাদি আসেনি। বাদীর সাক্ষী কিংবা আসামি না আসায় প্রায় সব মামলায় সময়ের আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে কিছুসংখ্যক আসামি আনা হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে কোনও আসামি আনা হয়নি। সাক্ষী বাদী কিংবা আসামির উপস্থিতিও কম। এতে মামলার কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী জাহিদ হাসান বলেন, ‘আজ তুলনায়মূলকভাবে আদালতে বিচারপ্রার্থী কম এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু আসামি ছাড়া রাজনৈতিক কোনও মামলার আসামিকে আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যারা ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন, তারাও কোটা আন্দোলনের কারণে আসতে পারছেন না। সব মিলিয়ে অনিবার্যভাবেই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ পড়ছে।’
ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানার ওসি সাদিক বলেন, ‘ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ৪৪ আসামিকে আদালতে আনা হয়। তবে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে আসামিবাহী কোনও প্রিজন ভ্যান আসেনি।’ ঢাকার সিএমএম আদালতেও একই অবস্থা বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ঢাকা জজ কোর্টের আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বেলা ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নামেনি। রাস্তায় যানবাহনের উপস্থিতিও তুলনামূলক কম। বাস বা বড় কোনও যানবাহন দেখা যায়নি। রিকশা-অটোরিকশায় যাচ্ছেন যাত্রীরা।
সদরঘাট এলাকা থেকে মিরপুর যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন রিফাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে বের হতে কিছুটা ভয় লাগছিল। কী জানি কী হয়? গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য বাধ্য হয়ে বাইরে বের হয়েছি। দেশের যে অবস্থা, ভালোভাবে পৌঁছাতে পারলে হয়!’