তরুনরাই আগামীর ভরসা

তরুনরাই পেরেছে এবং তরুনরাই পাড়বে। তবে এই তরুনরা কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরীর কাজ করেছেন। তরুন বয়সেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদি হয়েছেন এবং ন্যর্যতা ও সাম্যের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বৈষম্যবিরোধীতা বঙ্গবন্ধুর উদ্ভাবিত এবং মানবরচিত এক আনবিক শক্তি। সেই শাক্তির উপর ভর করেই আজকের তরুন সমাজ জেগে উঠেছে এবং তাদের মাধ্যমে দেশ ও জাতি উপকৃত হওয়ার একটি পথ বা সুযোগ আবিস্কৃত হয়েছে। যা এখন ধরে রেখে বাস্তবায়নাধিন রয়েছে।

তবে সাবধানতা এখানে জরুরী। কারণ স্বাধীনতার ৩.৫ বছরে কিন্তু তরুন চেতনায় আঘাত এসেছিল এবং সেই আঘাতে দেশ ও জাতি আজ জর্জরিত। বিভক্তি এবং বিভাজনের পালাবদলে ক্লান্ত। সেই সতর্কতা অবলম্বনে অগ্রসর হওয়া এমনকি আগামীর কল্যাণ ও দিক নির্দেশনা দৃশ্যমান করে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত কল্যাণকামীদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে তরুনদের প্রস্থান এবং পাহাড়ারত থাকা বাঞ্চনিয় ও আবশ্যক।

তরুনদের কিছু কিছু অতিরিক্ত বাড়াবাড়িও আছে কিন্তু সেই বাড়াবাড়িতে মনযোগ দিয়ে বরং সেবকের ভুমিকায় নিজেদেরকে অবর্তিণ করা জরুরী। শক্তির উৎস এবং আধারে পরিণত হওয়া ও ক্ষমতা আর শক্তি ব্যবহার ও অর্থনৈতিক হাতিয়ার সমৃদ্ধ হওয়া থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যনিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণায় ও চেতনায় স্বাধীনতার মূল ¯্রােতকে অগ্রাধিকার দেয়া জরুরী।

দ্রব্যমূল্য, বাজার ব্যবস্থা, ফুটপাত মুক্তকরণ, চাদাবাজ ও দখলদারিত্বের চির অবসান, অফিস-আদালতে ঘুষ বানিজ্য বন্ধ, ওকিল ও ডাক্তারদের ফি বা সম্মানী যৌক্তিক পর্যায়ে স্থির করে দেয়া, ভিসা, পাসপোর্ট অফিস ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করা এমনকি দালালমুক্ত করা জরুরী। বিদ্যুৎ ও গ্যাস অফিসকে দালালমুক্ত করে ন্যার্যতার উপর প্রতিষ্ঠিত করা। বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস অফিসে বর্তমানের পরিবর্তন জরুরী এবং সমস্যা চিহ্নিত করা জরুরী। তাদের কার্যক্রমে বর্তমানের অন্যায়ের উপর ভরসা করেই চলেছে। সংযোগ দেয়া ও মিটার বরাদ্ধ দেয়া থেকে বিল বিতরণ ও সংগ্রহে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতা আনয়ন করা জরুরী। রাজউক ও এর আওতাধিন সকল কর্মকান্ডে জবাবদিহিতা জরুরী। বিল্ডিং কোড অমান্যকারীদের বিচারের আওয়াত এনে এমনকি তৈরীকৃত আইন বহির্ভূত অংশ ভেঙ্গেচুড়ে আগামির শিক্ষাকে জাগ্রত রাখাও জরুরী। পুলিশ এবং প্রাশাসনিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পরিচ্ছন্নতা আনয়ন জরুরী। ক্যান্টনমেন্ট জগনের উন্মুক্ত অভয়ারণ্যে পরিণত করা জরুরী। আর্মী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে দূরত্ব দূর করা এখন সময়ের দাবি। নতুবা আরেকটি দুর্ঘটনা আসন্ন। শিক্ষায় এবং চাকুরীতে স্বচ্ছতা এবং জ্ঞানভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা আনয়ন সময়ের দাবি।

আইনের বৈষম্য এবং আইনের ফাকফোকর দূর করা জরুরী। প্রয়োজনে সকল বিষয়ে সহায়তা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। কোথায় কোথায় বৈষম্য এবং কিভাবে এই বৈশম্যের স্বীকার সাধারণ জনগণ তা ২৪ বছরের কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে সমাধান নিয়ে হাজির হতে রাজি। যেকোন সময়; যেকোন বিষয়ে পরামর্শ ও সমাধান নিয়ে হাজির হতে রাজি। এই প্রত্যয় ও আশা ব্যক্ত করেই ছাত্রদের সঙ্গে একাত্ব হতে অঙ্গিকারাবদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.