প্রশান্তি ডেক্স॥ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে গুরুতর অবস্থায় ওই তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্ত ও আপন নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে জেলার মির্জাপুর থানা সংলগ্ন শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আটক ছাত্রলীগ কর্মী আপন উপজেলার পুষ্টকামুরী এলাকার শ্রমিকলীগ নেতা মাহফুজ রহমানের ছেলে ও সীমান্ত একই এলাকার কামরুল হাসানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক মোজাহিদ, ইমন সিদ্দিকী ও জাকির হোসেনসহ কয়েকজন ছাত্র কলেজ থেকে বের হয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ছাত্রলীগ নেতা সীমান্ত ও আপনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোজাহিদ, ইমন সিদ্দিকী ও জাকিরকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে জনতা ও ছাত্ররা এগিয়ে এলে ছাত্রলীগকর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোজাহিদকে ঢাকার সিএমএইচে ও ইমন সিদ্দিকীকে ঘাটাইল সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগ নেতা সীমান্ত ও আপনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে, হামলার ঘটনা সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অপর সমন্বয়কদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কাওসার আহমেদ জিএম এর বাবা আকতার হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইতালি প্লাজায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম নিঝুম বলেন, ‘হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। এছাড়া ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে।’