প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সুধজা শহরে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) তিনি এই দাবি করেছেন। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে।
রুশ ভূখন্ডে ইউক্রেনীয় আক্রমণে দখল করা সবচেয়ে বড় শহর সুধজা। যুদ্ধের আগে প্রায় এখানে পাঁচ হাজার মানুষের বাস ছিল। পশ্চিম সাইবেরিয়ার গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন সুধজার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সুধজায় ইউক্রেনীয় সামরিক কমান্ডারের অফিস স্থাপন করা হচ্ছে। তবে এর কার্যক্রম বা বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি। এপির পক্ষ থেকে জেলেনস্কির এই দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে রুশ ভূখন্ডে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটির অন্তত দুটি হ্যাঙ্গার এবং অন্যান্য এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বুধবার তোলা ছবিতে পর্যালোচনায় ধারণা করা হচ্ছে, বোরিসোগলেবস্ক বিমানঘাঁটিতে দুটি হ্যাঙ্গার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে। তবে সেখানে থাকা যুদ্ধবিমানগুলোতে কোনো বড় ধরনের ক্ষতি দেখা যায়নি।
কুরস্কের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সেই স্মিরনভ গত বৃহস্পতিবার গ্লুকোভো অঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এই অঞ্চলটি সুধজা শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত, যেখানে তীব্র লড়াই চলছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে তাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের অভিযানে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।
কুরস্ক অঞ্চলের লক্ষাধিক বাসিন্দাকে ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাশিয়া বেলগোরোদ অঞ্চলে ফেডারেল পর্যায়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ৩৯০ বর্গমাইল অঞ্চল দখল করেছে। এই দাবিও স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
রাশিয়ার সামরিক ব্লগাররা জানিয়েছেন, রুশ সেনাদের আগমনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রগতি কিছুটা আটকে গেছে। তবে লড়াই চলছে।