প্রশান্তি ডেক্স॥ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ দেশি ফল আমড়া চলে এসেছে বাজারে। আষাঢ়ের শেষ থেকে আশ্বিন মাসের শেষ পর্যন্ত থাকে আমড়ার ভরা মৌসুম। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই টক ফলে আপেলের চেয়েও অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। শুধু এগুলোই নয়; আমড়ায় মেলে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আঁশ, আয়রন, থায়ামিন, রিবোফ্লাবিনসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। তাই আমড়ার মৌসুমে নিয়মিত ফলটি খেতে ভুলবেন না। জেনে নিন আমড়া খাওয়ার দারুণ সব উপকারিতা সম্পর্কে।

১. দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা প্রতিরোধে আমড়ার ভূমিকা অনন্য।
২. আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রকমের ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, সর্দি, কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে দূরে রাখে উপকারী এই ফল।
৩. হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়তা করে আমড়ায় থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি। এছাড়া ভিটামিন সি ত্বক সুস্থ রেখে বয়সের ছাপও কমায়।
৪. আমড়া খেলে মুখে রুচি বাড়ে, দূর হয় বমি বমি ভাবও।
৫. আয়রন শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি অত্যাবশ্যক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও রক্তাল্পতা এবং অন্যান্য রক্তের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন এবং মায়োগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে আয়রন, যা শরীরের সমস্ত সিস্টেমে অক্সিজেন স্থানান্তর করে। আমড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়।
৬. আমড়ায় ফ্যাট, সোডিয়াম নেই। এতে ভিটামিন ‘কে’ থাকে অনেক যা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে আমড়ায় কপার থাকে, যা হাড় ও শরীরের জন্য উপকারী।
৭. আমড়া পিত্তনাশক ও কফনাশক।
৮. থিয়ামিন নামের একটি উপাদান থাকে আমড়ায় যা মাংসপেশী গঠনে ভূমিকা রাখে। এই উপাদানের ঘাটতি হলে পেশী দুর্বল হওয়াসহ বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তথ্যসূত্র: মায়ো ক্লিনিক, হেলথ বেনিফিট টাইমস