চিকিৎসা নিতে লন্ডন আসছেন খালেদা জিয়া

প্রশান্তি ডেক্স॥ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসবেন কিনা, তা আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলের যুক্তরাজ্য কমিটির সভাপতি এম এ মালেক এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আমেরিকা, জার্মানির বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। তবে উনার পুত্র দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দুই পুত্রবধূ, নাতনিরাসহ পরিবারের সব সদস্য যেহেতু লন্ডনে আছেন, সে কারণে এখানে আসারই সম্ভাবনা বেশি।

এর আগেও একাধিকবার লন্ডনের হাসপাতালে খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানান এম এ মালেক। তবে তাকে জার্মানি কিংবা আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও লন্ডনে যাত্রাবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাজ্য বিএনপির এই নেতা আরও জানান, এর আগে ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য সবশেষ লন্ডনে এসেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেসময় লন্ডনের মরফিল্ড হাসপাতালে তার চোখের অপারেশন সম্পন্ন হয়। পাশাপাশি হাঁটুর জন্যও চিকিৎসা নেন তিনি।

অপর একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আমেরিকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিয়েছেন। আবার উনার শারীরিক যে পরিস্থিতি তার জন্য সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা জার্মানিতে সম্ভব। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা লন্ডনে আছেন। উনার শারীরিক অবস্থায় দীর্ঘ বিমানযাত্রার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। তার পুত্রবধূ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিৎসার প্রস্তুতি সমন্বয় করছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর অসুস্থতার কারণে কিছু দিন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মুখে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার শর্ত ছিল তিনি তার বাসাতেই অবস্থান করবেন এবং ঢাকাতেই চিকিৎসা করাবেন। শর্ত মেনে এরপর থেকেই তিনি তার ভাড়া করা বাসভবন ফিরোজায় সময় পার করছেন।

আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুরক্ষা সেবা বিভাগ কারা-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লার সইয়ে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে অসুস্থ থাকায় এরপরও তিনি হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন। এমনকি সেখান থেকেই বিএনপির এক কর্মসূচিতেও ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্যও দিয়েছেন। গতকাল (২১ জুলাই) তিনি বাসায় ফিরেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.