ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাক্ষণবাড়িয়া)প্রতিনিধি॥ টানা বর্ষন ও ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলে কসবা উপজেলার বির্স্তীন এলাকা তলিয়ে গেছে। উপজেলার সালদা নদী, সিনাই নদী, বুড়ি নদী ও বিজনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত বুধবার সন্ধা থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও ত্রিপুরা থেকে আসা পানির স্রোতে একের পর এক গ্রাম তলিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেলে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে সীমাহীন দূর্ভোগ বেড়েছে জনগনের। প্রশাসন গত বৃহস্পতিবার সকালে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলে দিয়েছেন দূর্গত বানবাসির জন্য।
কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী বায়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের মাদলা, খাদলা, পুটিয়া, অষ্টজংগল, বালিয়াহুরা, কৈখলা, নয়নপুরসহ অধিকাংশ গ্রামই পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। ঢলের স্রোতে পুকুরের মাছ, রোপা-আমন চাষকৃত জমি, বীজতলা ও শাক সবজি তলিয়ে গেলে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। একই অবস্থা জানিয়েছেন গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি জানান, তার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গিয়ে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগম জানান, অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কসবা উপজেলার ৭ হাজার ১শ হেক্টর রোপা-আমন চাষকৃত জমি, ৯ হেক্টর আমন বীজতলা, ৩ হাজার ৫০ হেক্টর রোপা- আমন বীজতলা এবং ৩৪ হেক্টর সবজি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদশন করেছেন।