ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় সানজিদা আক্তার (২০) নামে এক নববধুর লাশ উদ্ধার করেছে কসবা থানা পুলিশ। গত ২৫ আগষ্ট (রবিবার) সকালে উপজেলার কুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সানজিদা আক্তার পাশ্ববর্তী ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার জামতলি গ্রামের মোরশেদ আলমের মেয়ে । সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে জানান নিহতের মা রুনা আক্তার। সানজিদার পরিবারের দাবি যৌতুকের জন্য ওদের মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে হত্যা বলে ছড়ানো হচ্ছে।
নিহত সানজিদার বাবা মোরশেদ আলম জানান, প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা কুটি ইউনিয়নের কুটি গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম রাকিবের সাথে বিয়ে হয় সানজিদার। বিয়ের সময় ছেলের পরিবারের কোনো চাহিদা না থাকলেও বিয়ের পর থেকে ছেলের পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য শারীনিক, মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। যৌতুকের বিষয়টি ফোনে জানান সানজিদা। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ছেলের মায়ের চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক দিতে রাজি হন তারা। তবে যৌতুকের মালামাল দেয়ার জন্য সময় চান তিন মাস। এতো সময় চাওয়ার কারনে শাশুড়ি, দেবর ও ননদের মানসিক, শারীরিক অত্যাচার বাড়তে থাকে । গত বৃহস্পতিবার মা ও বোনকে ফোনে বিষয়গুলো জানান সানজিদা। কিন্তুু গত রবিবার সকালে সানজিদার মৃত্যুর খবর শুনে শাশুড়ি রুনা আক্তার সানজিদার খালু (ঘটক) একই উপজেলা বিষ্ণপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়াকে জানান। ঘটক ইব্রহিম মিয়া তাদেরকে ফোনে তার মেয়ের মৃত্যুর খবর জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সানজিদার পরিবারের লোকজন। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই যৌতুকের নির্যাতনের বলি হতে হলো সানজিদা আক্তারের এমনটাই দাবি বাবা-মায়ের।
কসবা থানা ওসি রাজু আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে নিহতের বাবা মোরশেদ আলম কসবা থানায় মামলা করেছেন। আমরা ময়না তদন্ত করে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।