ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ গর্ভবর্তী নারীর অপারেশনে মা-শিশুর মূত্যুর ঘটনায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ নিষ্কৃতি পেলেন। গত মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে কসবা উপজেলার কুটি চৌমূহনীর ” বসুনদ্ধরা হাসপাতাল” নামক এক প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্র-জনতা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বের করে তালা লাগিয়ে দেয় হাসপাতালে।
জানাযায় গত মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) সকালে উপজেলার কুটি চৌমুহনী বসুন্ধরা হাসপাতালের পাশ্ববর্তী শান্তিপুর গ্রামের নবী মিয়ার কন্যা শিউলি আক্তারের প্রসব ব্যাথা হলে স্থানিয় দাই দ্বারা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে দ্রুত বসুন্ধরা হাসপাতালে ভর্তি করে। শিউলির স্বামীর বাড়ি উপজেলার শিমরাইল গ্রামে। তার স্বামী কুয়েত প্রবাসী।
হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার মাহাবুব দ্রুত বাচ্চা প্রসবের জন্য অস্রোপাচার করতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। শিউলির বাবা নবী মিয়া জানান, বাড়িতে শিউলির প্রসব ব্যথা হলে গ্রামের দাই দিয়ে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করা হয়। ব্যর্থ হলে আমরা শিউলিকে বসুন্ধরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার মাহবুব তাকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে এসে বলেন প্রসূর্তী মা ও শিশুটি মারা যায়। পরে লাশ বের করলে আমরা দেখতে পাই শিশুটির গলা কাটা। এসময় আশ-পাশ্বের দোকানদারগন জানান ডাক্তার মাহবুব দাতের চিকিৎসক। আমাদের সাথে কথা না বলেই ডাক্তার মাহবুব পালিয়ে যান।
এদিকে এঘটনা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে কসবা থানা ওসি তদন্ত আব্দুল বাছেত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তিনি জানান, আমি প্রসূতির বাবা-মাকে থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য বলে এসেছিলাম। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। জানাযায় স্থানীয় জাকির মেম্বার, জজু মেম্বারসহ কিছু দোকানদান আপোষ রফা করে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে । এবিষয়ে প্রসূতীর বাবা নবী মিয়া ও চাচী মোছেনা আক্তার বলেন-আমরা নিরীহ মানুষ তাই ঝামেলায় যেতে চাই না। কুটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলবো না বলে ফোন কেটে দেন। বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নামে বসুন্ধরা হাসপাতালে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র তানভীর শাহিন বলেন-বসুন্ধরা হাসপাতালে আমরা কেও তালা লাগাইনি। এদিকে বসুন্ধরা হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মোস্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।