কসবায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কসবায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো কসবা উপজেলার ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন।

গত শনিবার (২৪ আগস্ট) ভোর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় উপজেলার ডুবে যাওয়া নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে কসবার বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিজনা, সালদা, সিনাই, বুড়ি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ দশমিক ৯৫ মিটার ওপরে ছিল। তবে সেটি আজ ভোর থেকে কমে ৫ দশমিক ৮৫ মিটারে এসেছে। আশা করি, ভারি বর্ষণ না হলে খুব দ্রুত পানি নেমে আসবে। জানা গেছে, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কসবায় উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে। তবে বর্তমানে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে জেনে কিছুটা স্বস্তি  ফিরেছে এসেছে পানি বন্দী মানুষের মাঝে । কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় শালদা, সিনাই, বিজনা, বুড়ি নদীর পানি কমতে শুরু করেছ। সর্বশেষ তথ্যমতে প্রায় ৪০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তিনটি ইউনিয়নের পানি কবলিতদের জন্য ১০ টন চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যাপীড়িতদের জন্য ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন গ্রামের আটকে পড়া পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.