কসবায় বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ২কোটি টাকার মাছ হারিয়ে মৎস্যচাষী রুমি দিশেহারা : আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে আবেদন

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ সাম্প্রতিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে  কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মৎস্য খামারীদের কোটি কোটি টাকার হ্মতি হয়েছে। আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করেছেন কৈখলা গ্রামের সালদা বহুমূখী এগ্রো ফার্ম ফিসারিজ এন্ড গরু মোটাতাজাকরন প্রকল্পের  পরিচালক  মোঃ নাদিরুজ্জামান রুমী ভূইয়া।

গতকাল রবিবার (১৫ সেপ্টম্বর) সকালে সরজমিনে গেলে সালদা বহুমূখী এগ্রো ফার্ম ফিসারিজ এন্ড গরু মোটাতাজাকরন প্রকল্পের পরিচালক মোঃ নাদিরুজ্জামান রুমী ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান. বিগত ৩৫ বছর যাবত এলাকায় ফিসারিজ ও গরু মোটাতাজা করনের কাজ সফলতার সাথে পরিচালনা করে আসছি। সাম্প্রতিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে আমার ১০টি ফিসারিজের চাষকৃত প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ বন্যার ভেসে যাওয়ায় আজ আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। এদিকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাছের খাবার বাকিতে এনেছিলাম মাছ বড় করে বিক্রয় করার মাধ্যমে দোকানীদের  দেনা পরিশোধ করবো।  কিন্তুু সর্বনাশা পাহাড়ি ঢলে ও বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে যাওয়ায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। একজন সফল মৎস্য ফিসারিজ হিসাবে মৎস্য চাষের  হ্ময়হ্মতি কাটিয়ে উঠার লহ্মে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপহ্মের নিকট আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার আবেদন করেছি। তিনি আরো বলেন , মৎস্য শিল্পকে বাচিঁয়ে রাখার জন্য  সরকারী ভাবে আমাদেরকে  সাহায্য সহযোগিতা করা না হলে ফিসারিজ মালিকরা নিঃস্ব হয়ে পথে নামবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  মেহেদী হাসান ভূইয়া জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার  বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৬ কোটি টাকার মৎস্য সম্পদের হ্ময়হ্মতি হয়েছে । এদিকে হ্মতিগ্রস্থ বায়েক ইউনিয়নের  কৈখলা গ্রামের সালদা বহুমূখী এগ্রো ফার্ম ফিসারিজ এন্ড গরু মোটাতাজাকরন প্রকল্পের  পরিচালক  মোঃ নাদিরুজ্জামান রুমী ভূইয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published.