জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥ পনের বছরের শাসনামলে বাংলাদেশকে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য বানাতে ব্যর্থ হয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। ভারতে পালিয়ে গিয়েও তিনি ষড়যন্ত্র থামাননি।
এবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে খুনি হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী মো: দেলাওয়ার হোসেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন না। আর কোন ভাইয়ের বুকে গুলি চালাবেন না। আর যদি পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অভিমুখে আমরা লং মার্চ করবো।
গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে স্থানীয় হাইস্কুল মাঠে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সহকারী সেক্রেটারী বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে ৫-ই আগস্ট নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে ভারতে পালিয়েছে হাসিনা। পালিয়ে গিয়েও একের পর এক ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। আবারো স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসার জন্য। আপনার আশা আর পুরন হবে না। দেশের প্রতিটি প্রশাসনিক সেক্টরে অস্থিরতা চলছে। যারা আওয়ামী লীগার তারাই এই অস্থিরতা তৈরি করছে। তাদের চিহ্নিত করে পদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোরআনের একটি সুন্দর সমাজ, কোরআনের একটি সুন্দর রাস্ট্র কায়েমের স্বপ্ন পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যে সমাজ হবে বৈষম্যহীন সমাজ, যে সমাজে অন্যায়-অবিচার থাকবে না। জামায়াতে ইসলামী চাই বাংলাদেশের সংসদ কোরআনের আইন দ্বারা পরিচালিত হউক, কোরআন দিয়ে বিচার বিভাগ পরিচালিত হউক তাহলে দেশের মানুষ ন্যায় বিচার পাবে। মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। জামায়াতের এই নেতা বলেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠার সমাজ গড়ার কাজ করছিল জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার খুনি হাসিনার সরকার অন্যায় ভাবে জামায়াতে ইসলামীর উপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। পনের বছরে বিনা অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ফাসিতে ঝুলিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে।
অন্যদিকে একই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্যে অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা মো: আব্দুল হাকিম বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ১৫ টি বছর জামাতে ইসলামকে অনেক নির্যাতন করেছে। বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের শীর্ষ পর্যায়ে নেতাদের কারাগারে প্রেরণ করেছে। হাজার হাজার ছাত্র যুবককে হত্যা করে লক্ষণ সেনের মত পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, জেলা সেক্রেটারী মো: আলমগীর, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।