গুজব আর রঙ্গ তামাসা

গুজব আর তামাশার কাছে আজ আমাদের দেশ বড়ই অসহায়!!! মানুষের মুখে মুখে এমনকি স্যোসাল মিডিয়ায় গুজব দৌড়াত্বে অসহায় মানুষ ও সমাজ ব্যবস্থা। আর গুজবে কান দিয়ে সর্বনাশ করে ছাড়ছে জাতির জাতীয় ভীতকে। পঙ্গু করে দিচ্ছে অর্থনীতি ও রাষ্ট্র এবং এর অধিনের সকল স্তরের কার্যক্রমের সহিত ঐতিহ্যে ভরপুর সংস্কৃতিকে। পূর্বের গুজবের সঙ্গে বর্তমানে গুজবও কম যায়নি।

বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকার ও উপদেষ্টাদের নিয়েও কম ছড়ায়নি গুজব। তবে এই গুজব সামাল দিতে দিতেই হিমশিম খাচ্ছে সমাজ ও সংস্কার এবং প্রসাশন ও মিডিয়াগুলো। কাজের কাজ কিছুই করার সময় হয়ে উঠেনা ঐসকল গুজবের জন্য। যেন চিলে কান নিয়েছে আর কানে হাত না দিয়েই গুজবের পিছনে ছুটে সময় ও শক্তি উভয়ই নষ্ট করছে বা অপচয় হচ্ছে। তাই আর গুজবে কান নয় বরং স্বচক্ষে দেখা ও শুনা এমনকি বিশ্বস্ত মাধ্যমে জানা বিষয়গুলো নিয়েই কাজ করুন। গুজবে কান দিবেন না। এমনকি নিজের কাজ, পরিবারের কাজ ছাড়া অন্যকোন কাজে আর মনযোগ দিবেন না বরং নিজের এবং পরিবারের কাজগুলোকেই গুরুত্ব দিন। যার যার সুনিদৃষ্ট কাজগুলোকে বা দায়িত্বগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কর্ম সম্পাদন করুন। গুজবে কান দিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।

সরকার পতন, উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং নানান বিষয়ে রটানো গুজব বা আন্দোলন ও দখল এবং অত্যাচার আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পূর্বে সকল কিছু ভেবে এবং নিজের দায়িত্বটুকু সম্পাদন করে অতিরিক্ত সময় থাকলে সেইসব বিষয়ে মনযোগ দিয়ে চিন্তা করুন এবং অধিক চিন্তার ফসল হিসেবে যা সঠিক তা করতে মননিবেশ করুন।

একজন সম্মানীয় ব্যক্তির কথাকে নিয়ে ব্যঙ্গ নয় এমনকি নেতিবাচক মনোভাব নয় অথবা ভুল ব্যাখ্যা নয় বরং সঠিক বিশ্লেষণ এবং সেই অনুযায়ী বুঝে নিয়ে অগ্রসর হউন। না বুঝলে বিশ্বস্ত মানুষের নিকট গিয়ে বুঝে অগ্রসর হউন। ক তে কলা এবং খ তে খবর না বুজে সঠিক অর্থ এবং ভাবার্থ ও সময় এবং বিষয়ব্যাপ্তি বুঝে বিশ্লেষণ করে সঠিকতা যাচাই করুন। নতুবা অন্যের নয় বরং নিজের ক্ষতিই বেশী হবে। নিজের ক্ষতিতেই দেশের ও দশের ক্ষতি সাধিত হয়।

মনের ভাব প্রকাশ করলে এবং এমনকি কারো বিরুদ্ধে বললেই মামলা এবং হামলা নয় বরং বর্তমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মতাদর্শকে শ্রদ্ধা ও ভালনাবায় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে এগিয়ে যান। পুর্বের সরকার যা করেছে তা এই সরকার করবে এবং করুন তা বাংলার জনগণ বিশেষ করে ছাত্র জনতা চায় না। তাই জুলাই-আগাষ্ট গণ আন্দোলনের পটভুমিকায় যবনিকাপাত ঘটুক। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিজেও বলেছেন বেশি করে সমালোচনা করতে তাই সমালোচনা করুন এবং বিশেষ করে গঠনমূলক সমালোচনাই কাম্য। আর সমালোচনা সহ্য করার মানুষিকতা এবং সাহস ও ধৈয্য অব্যাহত রাখুন। এই সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে হামলা মামলা এমনকি চাকুরিচ্যুত করা শুভনীয় নয় এমনকি সমুচিনও নয়। তাই পুর্বের ফ্যাসিবাদি চরিত্রের সকল দিক পরিহার করুন।

জাতীয় দুর্যোগে দায়িত্ব নেয়াদের নিয়ে তামাসা করবেন না বরং তাদেরকে শতভাগ সহযোগীতা করুন যাতে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হয়। জাতি ফিরে পায় সোনার বাংলার সোনায় মোড়ানো শান্তি, নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা এবং আগামীর জন্য এক বেহেস্তি অভায়ানণ্য। একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, এখনও নির্যাতিত এবং নিগৃহীত কারান্তরিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ না করেই মিডিয়া সংস্কার কমিশন গঠনের কথা ভাবছেন। তাই বলছি এখনও সময় আছে ঐসকল কারাবরণকারী সংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শুধু জাতীয় পর্যায়ের নয় বরং সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক এবং মাসিক সম্পাদকদেরও ডাকুন এবং তাদের মতামত এবং অভিজ্ঞতার কথা শুনুন আর সেই অনুযায়ী অগ্রসর হউন। নতুনা ঐ কমিশনে কোন প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যাবে না।

আসুন আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে এই দেশটাকে পুর্নগঠন করি এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলা ও বাঙ্গালীকে নতুন এক সুউচ্চতায় সুপ্রতিষ্ঠিত করি। এই ক্ষেত্রে গুজব পরিহার এবং দোষ ধরা একদম বন্দ করে ক্ষমা ও ভালবাসায় এবং বিশ্বাস ও নির্ভরতায় এগিয়ে যেতে হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে আপনার ও আমার ভুমিকা পরিস্কার করে কার্যরত রাখুন তাহলেই সুফল ভোগ করা সহজ হবে। শান্তি ও আনন্দ এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা পুন:প্রতিষ্ঠিত হবে আর সেই সাথে গুজব দূর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.