অবস্থা বেগতিক। অর্থনীতি ও রাজনীতি এবং সমাজনীতি আর মানুষের চাহিদার যোগানের প্রত্যাশা এমনকি সৃষ্টিকর্তার অভীপ্রায়ে বড়ই গড়মিল দেখা যাচ্ছে। তাই স্তম্ভিত না হয়ে বরং ধৈয্য এবং আস্থা ও বিশ্বাস একমাত্র সৃষ্টিকর্তার উপরই রাখা যায় এও প্রমানিত সত্য। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে যার উপরই আস্থা এবং বিশ্বাস রাখবেন সেখানেই খোচট খাবেন এবং খেয়েছেনও। তবে কেউই নিখূঁত নয় বরং বিভিন্ন অসম্পূর্ণতার মাঝেই সবাই সম্পূর্ণতা খুজে পায় এবং নিতে চেষ্টা করে। আর মহান সৃষ্টিকর্তাও ঠিক তেমনি চান। তিনি চান যেন সবাই তাদের নিজ নিজ ভূল-ত্রুটিগুলো খুজে বের করে এবং সেই ভুল থেকে বেড় হয়ে আসতে তৌবা করে পরবর্তীত সংশোধীত জিবনের সকল স্তরে যা সত্য যা উপযুক্ত যা সৎ যা খাঁটি যা সুন্দর যা সম্মান পাবার যোগ্য, মোট কথা যা ভাল এবং প্রশংসার যোগ্য সেইদিকে তোমরা মন দাও। হ্যা এই লক্ষ্যেই সবাই এগিয়ে যাবে এবং যান ও যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন। আমাদের দোয়া- মোনাজাত এবং সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে ঠিক তেমনি করে সৃষ্টিকর্তার অভীপ্রায়ের অন্তরালের সকল আশির্বাদ অব্যাহত থাকবে।
আমাদের দেশের রাজনীতি গুণেধরা এবং শকুনের মত নি:সংশ আর ঘৃণা ও ক্রধে নিমজ্জ্বিত। তবে এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যে যায় ক্ষমতায় সেই হয় রাবন বা ফেরাউন সমতুল্য। কেউ আর সাধারণে অসারণ হতে চেষ্টা করেনি এবং করতে চায়ও নি। পূর্বসূরীর উত্তরসূরী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় নিমজ্জ্বিত থাকতে চায়। মনে হয় এটাই উত্তরাধীর অংশীদার এবং ন্যায্য পাওনা। তাই পূর্বের গত হওয়া এইসকল ইতিহাস ও রাজনীতির কলঙ্ক থেকে কেউ শিক্ষা নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও নিবে না।
বর্তমানের উপর মানুষের আকাঙ্খা অনেক বেশী যা প্রত্যাশার এমনকি অনুমানেরও অনেক অনেক বেশী। তাই এই প্রত্যাশার চাপে এমনকি আকাঙ্খা পূরণের চাপে পড়ে কোনটা ছেড়ে কোনটা এই বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করতে গিয়েই এই প্রত্যাশার সরকার নিমজ্জ্বিত হচ্ছে। তবে কাজের ক্ষেত্রে জনগণ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষাভাবে কিছু উপভোগ করতে পারছে না। তাই জনতার উম্মা বা অসন্তুষ্টি প্রকাশ শুরু হয়ে গেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষের সমর্থন প্রত্যাহার হচ্ছে। তাই বলি সময় থাকতে নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো এবং মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে পুন:প্রতিষ্ঠীত করুন। মানুষকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে আগামীর করনীয়তে মনোনিবেশ করান। নতুবা জনতার জনবিস্ফোরণ বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাবে।
যেসকল বিষয়গুলো করতে গেলে জনতার রোষানলে পড়তে পারেন সেইসকল বিষয়গুলোকে পরিহার করুন। নতুবা শেখ হাসিনার পরিণতির পর্যায়ে আপনারাও স্বীকারে পরিণত হবেন। আপনাদেরকে সমর্থন জানিয়েছে এই দেশের সকল দল ও মত এবং পথের লোকজন। এখানে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাতসহ সকল দলের মানুষজন। তবে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রত্যক্ষ্যভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ক্ষমতার মসনদে বসে সবই ভুলে গিয়েছিলেন যেমন অতিত ও বর্তমান এবং ভবির্ষ্যত সেই মানুষগুলোই শুধু ছাত্র-জনতার বিরোধীতা করেছেন। তাই সবাইকে একই পাল্লায় তুলে নিজেদেরকে জনসমর্থনশুন্য করবেন না বরং জনসমর্থন বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করুন।
যেটা বিএনপি জামাত একাই পারার কথা ছিল সেটা তারা পারেনি শুধু ঐসকল বিষয়গুলোর মধ্যে ঢুকে নিজেদেরকে জনবিচ্ছিন্ন করেছিলেন। দলকে সবসময় জনসর্ম্পক্ততায় নিয়োজিত রাখুন। আপনারা জনসর্ম্পক্ততায় নিয়োজিত ছিলেন তাই এখনও থাকুন এবং জনগণের সমর্থনকে ধরে রেখে সাবধানে সামনে অগ্রসর হউন। সামনে অনেক কঠিন পথ তাই এই পথ পাড়ি দিতে জনগণকে সঙ্গে রাখুন। নিজেদের অতিত এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতকে সবসময় মনে রেখে অগ্রসর হউন। সমালোচনা নয় বরং আগামীর ভীত শক্তিশালিকরণের লক্ষ্যেই এই লিখা।
মনে রাখবেন একমাত্র জামাত ছাড়া সকল মানুষই আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়াদিয়ে এই বাংলাদেশ অর্জন করেছিল। আর সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেই আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকেই আজকের সকল দলের জন্ম এবং বেড়ে উঠা। তাই আপনাদেরও যেমন সমর্থন দিয়ে সফলতা পেতে সহায়তা করেছিল সকল দল ও মত এবং পথের মানুষজন তেমনি করে আপনাদের থেকেও বেড় হয়ে আরো দল এবং মত আর পথ সৃষ্টি হয়ে বেড়ে উঠতে পারে। এবং এর পরিণতি কি তা ইতিহাস আমাদেরকে শিক্ষা দেয়। তাই ইতিহাসের শিক্ষাকে বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে আগামীর অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালি করুন।
আইন-আদালত এবং বাজার ব্যবস্থা আর গোপন চাদাবাজির অরাজকতা থেকে দেশকে রক্ষা করুন। অফিস পাড়ায় নজর রাখুন এবং কর্মজীবিদের কর্মের সহজিকরণে ভুমিকা রাখুন। যোগ্যদেরকে মূল্যায়ন করুন এবং নতুন করে ইতিহাস সৃষ্টিতে ভুমিকা রাখুন। একটি কথা বলতে চাই যা বহু বছর পূর্বে ফিদেল ক্যাষ্টো বঙ্গবন্ধুকে বলেছিল- কথাটি হলো দেশ স্বাধীনের পর ফিদেল ক্যাষ্টো বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, তুমি রাষ্ট গঠণে রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে কাদেরকে নিয়েছো? তিনি বলেছিলেন আগে যারা ছিল তারাই বেশী। তখন বলেছিল কেন? তোমার মুক্তিযোদ্ধারা কোথায়? তারা নয় কেন? তাদের দিয়ে নয় মাসে অসাধ্য কাজ সাধন করতে পেরেছে আর এখন তাদের বাদ দিয়ে দেশ গঠন কিভাবে করতে পার? এই কথাটি শতভাগ সত্য। যারা উভয় আমলের সুবিধাভোগী তাদের দিয়ে শতভাগ সফলতা সম্ভব না। তাই বঙ্গবন্ধুর সেইদিনের সেই ভুলের খেসারত কি ছিল তা ইতিহাস আমাদের জানান দেয় আর সেই কারণেই আপনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, দ্বিতীয়বার আর ঐ ভুল আপনারা কইরেন না বরং ঔ ভুলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হউন। এই বলেই আজকের বর্তমান হালচাল শেষ করছি।