ভালোবাসুন কিংবা ঘৃণা করুন, আমার সঙ্গে খেলবেন না—সাকিব

প্রশান্তি ডেক্স ॥ কানপুরে সাকিব আল হাসান অবসর ঘোষণার দিনে একটি ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মিরপুরেই শেষ টেস্টটি খেলতে চান তিনি। সাকিবের চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে ব্যবধান ছিল কেবল ৪ দিনের! গত বুধবার সাকিবকে নিয়েই দল দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সব পাল্টে গেলো। ২১ অক্টোবর শেষ টেস্ট খেলতে যেখানে মাঠে নামার কথা ছিল, সেখানে নিরাপত্তার কারণে দেশেই ফিরলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাইয়ে এসেছিলেন, সেখান থেকে আবার ফেরত গেলেন তিনি। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থে সাকিবকে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছে সরকার।

সাকিব দেশে ফিরছেন না। এদিকে, সাকিবকে ঘিরে মিরপুরে চলেছে বিক্ষোভ। এরই মাঝে এক ভিডিওতে বার্তা দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে হুলুস্থুল অবস্থা। আবুধাবি টি-টেন লিগে সাকিবের দল বাংলা টাইগার্স তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। যেখানে সাকিবের বার্তাটা এমন, ভালোবাসুন কিংবা ঘৃণা করুন, সেটার পরোয়া নেই তার। কিন্তু তার সঙ্গে কেউ যেন খেলা না করেন।

ভিডিওটিতে কেবল সাকিবকেই দেখানো হয়েছে। সাকিব বলেছেন, ‘আমার জীবন, আমার নিয়ম, আমার ধরন, আমার আচরণ। আমাকে ভালোবাসুন কিংবা ঘৃণা করুন, আমি পরোয়া করি না। কিন্তু আমার সঙ্গে খেলবেন না।’

প্রায় ২ ঘণ্টা আগে পোস্ট করা এই ভিডিওটি বাংলা টাইগার্সের কোনো প্রমোশনের অংশ কিনা, সেটা পরিষ্কার করা হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইটির পক্ষ থেকে। পোস্টটির ক্যাপশনেও সাকিবের কথা দেওয়া হয়েছে।

খেলার পাশাপাশি সাকিব আল হাসান জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজনীতিতে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। যার কারণে সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে তৈরি হয় শঙ্কা। জন্ম দেয় নানা প্রশ্নের। তারপরও সব কিছু তৈরিই ছিল। সাকিবকে রেখেই প্রথম টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল।

https://www.facebook.com/reel

তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সাকিব দেশে ফেরেননি। সাকিবের না ফেরা নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজে কোনও প্রকার অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতেই আপাতত দেশে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে বিসিবিকে পরামর্শ দিতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার আশু ব্যবস্থা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে সকলেরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত বলে মনে করি। কোনও অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিয়েই তার সমাধান খোঁজা যেতে পারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.