প্রশান্তি ডেক্স ॥ আগামী নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। একইসঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে যুক্ত করে সাংবিধানিক রূপ দেওয়াসহ ১৬ দফা সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করেছে দলটি।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখা উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ ১৬ দফায় ৬৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মেয়াদপূর্তির কমপক্ষে ছয় মাস আগে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সংলাপের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নির্বাচন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ১৭০টি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় অর্ধেকের মতো দেশে নির্বাচন হয় সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে একটি দল যত ভোট পায়, সেই অনুপাতে জাতীয় সংসদে আসন পায়। তাই প্রোপরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) তথা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে।
এ সময় তিনি নির্বাচন ব্যবস্থায় ভারসাম্য রক্ষা, জনপ্রশাসন সংস্কার, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক, বাজার মনিটরিং, ধর্মীয় ও জাতিগত, সংস্কৃতি, পররাষ্ট্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন, প্রেসিডিয়াম ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পীর আবু সুফিয়ান আল কাদেরী, এম সোলায়মান ফরিদ, সৈয়দ মুজাফ্ফর আহমদ মুজাদ্দেদী, গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিক, অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলাল, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, মাস্টার আবুল হোসেন, মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম কাজল, মোহাম্মদ আলী হোসাইন, আব্দুর রব সুলতান প্রমুখ।