কসবায় স্কুলছাত্র অটোরিক্সা চালক রিফাত হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ গত বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে কসবা উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাঠেরপুল নামক স্থানে অটোরিক্সা চালক রিফাত হত্যা মামলার মুল আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন- মামলার তদন্তকারী  কর্মকর্তা এস আই ইউনুস মিয়া খুনিদের গ্রেফতারে কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছেন না।

উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর বিকেলে  কুটি কালামুড়িয়া গ্রামের  আবেদ মিয়ার ছেলে স্কুল পড়ুয়া রিফাত (১৫)অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়ে  রাতে বাড়িতে না এলে পরিবারের লোকজন খুজাঁখুজি করে পরদিন ২৪ অক্টোবর সকালে কসবা পৌর এলাকার সাহাপুর গ্রামে একটি অটোরিক্সার  গ্যারেজে তার অটোরিক্সাটি  দেখতে পায়।

গ্যারেজের মালিকের সঙ্গে রিফাতের অভিভাবকরা  গ্যারেজে বসে  অপেক্ষা করে। এমতাবস্থায় অটোরিক্সাটি নিতে এলে রিফাতের বাবা আবেদ মিয়া, স্থানীয় জনতা মিলে  আপন মিয়া নামে এক দুবৃত্তকে আটক করে । পরে তারা কসবা থানা পুলিশকে খবর দেয়।স্থানীয় জনতার সম্মুখে আপন মিয়ার  স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী পেয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দাবাদ এলাকা থেকে ওই দিন সকালে পুলিশ রিফাতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবেদ মিয়া বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামী করে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে আপন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দীতে আপন মিয়া জানান, এই হত্যাকান্ড ও অটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় একই এলাকার মাসুক মিয়া ও রাশেদ মিয়া তার সহযোগী ছিল। তারা উভয়েই রানিয়ারা গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে।

আসামী সনাক্তের পরও কসবা থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় স্থানীয় জনগনের মধ্যে উদ্ধেগ সৃষ্টি হয়। আবেদ মিয়া বলেন ,তদন্তকারী কর্মকর্তা ইউনুস মিয়াকে  আসামী গ্রেফতারের জন্য বললে তিনি বিরক্তবোধ করেন এবং আমাদেরকে গালমন্দ করেন। আমরা পুশিশের উর্ধতন কতৃপহ্মের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।

আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন, বিহ্মোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহন করলে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় আধা ঘন্টা কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়কে যানবাহন আটকা পরে।  

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন নিহত রিফাতের বাবা আবেদ মিয়া, মা রাবেয়া বেগম, বোন তানজিনা আক্তার, নুর মোহাম্মদ, সোহরাব হোসেন, মস্তু মিয়া, শিশু মিয়া,নাছির উদ্দিন, সোহাগ খান ও আব্দুল আলিম। তারা অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন ।

এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোঃ জহিরুল হক কবির জানান, অটোরিক্সা চালক রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে জবানবন্ধি গ্রহন করা হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এবিষযে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ইউনুস মিয়ার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.